বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা বজায় রাখতে এবছর ব্যাপক কড়াকড়ি শুরু করেছে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ। তারপরেও পরীক্ষা কেন্দ্রে থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে উওর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর লোধা হাই স্কুলের ৪ ছাত্রের কাছ থেকে। তাই ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি মেনে ওই ৪ ছাত্রের পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। এবার ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হতে চলেছে ৪ ছাত্র।
মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল, হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ ৪ ছাত্র
টুকলি, থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে,পরীক্ষাকেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে আগে থেকেই কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে পর্ষদ। জানানো হয়েছিল পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন কিংবা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট সমেত ধরা পড়লেই এবছরের মতো ওই পরীক্ষার্থীর সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হবে।
প্রথমে মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে না ঢোকার জন্য পরীক্ষার্থীদের বার বার সচেতন করা হয়। কিন্তু বারবার বারণ করা সত্ত্বেও কেউ যদি পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইল সমেত ধরা পড়ে, তা হলে পর্ষদ দোষের গুরুত্ব বুঝে তিন বছর পর্যন্ত পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: অনুব্রত বনাম কাজল শেখ? তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে পদ খোয়ালেন ওসি, গ্রেপ্তার TMC নেতা
জানা যাচ্ছে, উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপেখোরের নন্দঝাড় আদিবাসী তফসিলি আদৰ্শ বিদ্যাপীঠ পরীক্ষাকেন্দ্রের ৪ জন ছাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে তাদের কোচিং সেন্টারের শিক্ষকের কাছে পাঠিয়েছিল। তারপরেই ফোনে চলে আসে প্রশ্নের উত্তরও। হাতেনাতে ধরা পড়তেই চলতি বছরে তাদের সব পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হচ্ছে চার ছাত্র।
প্রসঙ্গত পর্ষদের নির্দেশকে কার্যত ‘বুড়ো আঙুল’দেখিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন মোবাইল ফোন সমেত ধরা পড়ে এক পরীক্ষার্থী। তারপরেই বাতিল হয়ে যায় আলিপুরদুয়ারের নিউটাউন গার্লস স্কুলের ওই পড়ুয়ার পরীক্ষা। অন্য দিকে, হাওড়ার বালি শান্তিরাম বিদ্যালয়ের এক পরীক্ষার্থীর কাছে স্মার্ট ওয়াচ পাওয়া যায়। পরীক্ষা বাতিল হয়েছে তারও। জানা যাচ্ছে এই দু’জনের কেউই এবছর আর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারবে না।