তাজমহল তো আছেই! দেশের এই ২ পর্যটনকেন্দ্রের অন্দরেও লুকিয়ে আছে প্রেমের গল্প! জানতেন?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : “অমরত্বের প্রত্যাশা নেই, নেই কোনো দাবিদাওয়া; এই নশ্বর জীবনের মানে শুধু তোমাকেই চাওয়া”…প্রেমের সাগরে ডুবে যেতে চায় না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। রাজা-বাদশা হোক কিংবা দীন-দরিদ্র কোন মানুষ, প্রিয়তমাকে উপহার দিতে কে না ভালোবাসে। আর সেই কারণেই প্রিয়তমার স্মৃতির উদ্দেশ্যে কেউ বানিয়েছেন সৌধ, আবার কেউবা তৈরি করেছেন সরোবর। এককথায় বলা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের একাধিক পর্যটনকেন্দ্রের (Tourist Spot) সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা প্রেমকাহিনি। আজকের প্রতিবেদনে সেইসব পর্যটনকেন্দ্র (Tourist Spot) নিয়েই একটু চর্চা করা যাক।

আরোও পড়ুন : পাত্তা পায়না নায়ক, ছড়ি ঘোরায় পার্শ্ব চরিত্র, জি এর “বেঙ্গল টপার” মেগা বন্ধের দাবি দর্শকদের

ভালবাসার কাহিনি জড়িয়ে আছে এইসব পর্যটনকেন্দ্রে (Tourist Spot)

১) তাজমহল : মোগল সম্রাট শাহজাহান, তার প্রিয়তমা স্ত্রীর স্মৃতির উদ্দেশ্যেই শ্বেতপাথরের এই স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেছিলেন। পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে অন্যতম আশ্চর্য হিসেবে পরিচিত এই স্মৃতিসৌধটি আগ্রায় যমুনার তীরে অবস্থিত। ‘তাজ’ শব্দের অর্থ মুকুট। স্থাপত্যশৈলী ও সৌন্দর্যের জন্য এই স্থান পৃথিবীর কাছেই এক বিস্ময়। তাজমহল (Taj Mahal) খোলা থাকে সূর্যোদয়ের আধ ঘণ্টা আগে থেকে সূর্যাস্তের আধ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত। জ্যোৎস্না রাতে সীমিত সংখ্যক পর্যটকের তাজমহল দেখার সুযোগ মেলে রাত ৮টা থেকে ১১টা বেজে ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। তাজমহলের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে টিকিট কাটা যায়।

Love story and tourist spot

২) রূপমতী মহল : মধ্যপ্রদেশের মান্ডুতে আছে রূপমতী এবং রাজা বাজ বাহাদুরের প্রেমের স্মারক রূপমতী মহল। শোনা যায়, বাজ বাহাদুর রূপমতীর জন্যই পাহাড়ের মাথায় বানিয়ে দিয়েছিলেন একটি মহল। সেখান থেকেই চারপাশের দৃশ্য দেখতে পেতেন রূপমতী। তারই অদূরে রয়েছে রেওয়া কুণ্ড। শুধু তাই নয়, রূপমতী মহলের (Rupmati Mahal) কাছেই রয়েছে বাজ বাহাদুরের মহল। এছাড়াও, দু’টি কৃত্রিম জলাশয়ের মাঝে অবস্থিত মান্ডুর অন্যতম আকর্ষণ জাহাজ মহল। সকাল ছ’টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রূপমতী মহল ঘোরা যায়।

Love story and tourist spot

৩) শনিওয়ার ওয়াড়া : মারাঠা পেশোয়া বাজি রাও এবং মস্তানির প্রেমের গল্পের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে পুণেই শনিওয়ার ওয়াড়া (Shaniwar Wada) দুর্গ। শনিওয়ার ওয়াড়ার পাঁচটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। মস্তানি দরওয়াজ়া নামে শনিওয়ার ওয়াড়ায় একটি প্রবেশ তোরণ রয়েছে। সাত তলার এই মহল ঐতিহাসিক স্থান হিসাবে পর্যটকদের কাছে পরিচিত। শনিবারওয়াড়ার ভিতরের রয়েছে কাচের তৈরি ঘর, নৃত্য পরিবেশনের জন্য বিশাল মহল-সহ অনেক কিছুই। টিকিট কাটলে সকাল ৯টা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এই জায়গা ঘোরার সুযোগ থাকে।Love story and tourist spot

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর