এতো পুরো মাস্টারক্লাস! মার্কিন মুলুকেও শুরু মোদি ম্যাজিক! ট্রাম্পকে যেভাবে সামলালেন…’শিক্ষণীয়’

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মার্কিন মুলুকে পাড়ি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেখানে গিয়েই বৈঠক সারলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে। তবে বাণিজ্য সংক্রান্ত চুক্তি নিয়ে নমো যেভাবে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা সারলেন, তা এককথায় অভূতপূর্ব বলেও উল্লেখ করেছে মার্কিন মিডিয়া।

মার্কিন মুলুকেও শুরু মোদি (Narendra Modi) ম্যাজিক

শুধু তাই নয়, সিএনএনের ভাষায়, এ যেন এক মাস্টারক্লাস। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই চাপা টেনশন ছিল শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) যেহেতু বৈঠক শুরুর আগেই প্রতিশোধমূলক শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়টির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন, তাই ভারত-মার্কিন বাণিজ্য আলোচনা নিয়েও নানান গুঞ্জন উঠতে শুরু করে।

আরোও পড়ুন : মাত্র ৬ মাসেই শেষ “বেঙ্গল টপার” প্রোডাকশনের সিরিয়াল, চ্যানেল বদলে নতুন গল্পে এন্ট্রি নায়কের

পাশাপাশি, ট্রাম্পের কূটনৈতিক বিষয়গুলো যেহেতু আগে থেকে জানা যায় না, তাই পরিস্থিতিকে নিজের আয়ত্তে রাখাই ছিল মোদির টার্গেট। এক কথায় বলা যায়, সব বিষয়গুলিকে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসাই ছিল মোদি ম্যাজিক। সবথেকে ভালো ফল যাতে হয় সেটা নিশ্চিত করার জন্য মোদি যেভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গিয়েছেন, তা ভীষণই প্রশংসনীয়।

আরোও পড়ুন : বদলে যাচ্ছে নায়ক নায়িকা, ২ বছরের হিট মেগাকে বাঁচাতে গল্পই ঘুরিয়ে দিল জি বাংলা!

বলা বাহুল্য, মোদির (Narendra Modi) থেকে এই শিক্ষাটাই নেওয়া উচিত বিশ্বনেতাদের। মোদি অবশ্য আগে থেকেই জানতেন যে শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের (Donald Trump) চাপ আছে। তাই আলোচনাটা ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই ভারতের পারমাণবিক শক্তির উপর মার্কিন বিনিয়োগ বৃদ্ধি কিংবা এফ ৩৫ যুদ্ধ বিমান কেনার মত বিষয়টি তুলে ধরেন।

আসলে, ট্রাম্প বরাবরই ব্র্যান্ডিং শুনতে ভালবাসেন। সিএনএন-এর সিনিয়র ইন্টারন্যাশানাল করেসপন্ডেন্টের কথায়, মোদির নানান বিষয়ে আলোচনার জেরেই খেলা ঘুরতে শুরু করে। এদিকে ভারত মার্কিন গাড়িতে ৭০ শতাংশ কর আরোপ করে, লাক্সারি গাড়িতে ১২৫ শতাংশ এগুলি নিয়ে সমালোচনা করছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এছাড়াও, মিশন ৫০০-র প্রসঙ্গ উঠে আসে।

American Media praised Narendra Modi

তবে শেষ পর্যন্ত দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনা সফল হয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন ভারত আমেরিকার তেল ও গ্যাস কিনবে। আর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে মোদি জানিয়েছেন বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও ভালো হবে। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের মোট দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে ফেলবে বলেই বিশেষজ্ঞদের মত।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর