বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র ধরে যে সকল হেভিওয়েটদের নাম সামনে উঠে এসেছিল তার মধ্যে অন্যতম প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন জেলবন্দি ছিলেন তিনি। এরপর গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে জামিনে মুক্ত হন মানিক।
ঝুলে মানিকের ভাগ্য- Manik Bhattacharya
গত বছর জামিন পাওয়ার পরই বন্দি থাকাকালীন সময়ের বকেয়া বেতনের জন্য আবেদন করেন পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম বলছে, এই বেতন পাওয়ার কথা নয় মানিকের। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়ও এ সংক্রান্ত রুল জারি করেননি। ফলত মানিকবাবু নিজের বকেয়া বেতন পাবেন কি না, সেই নিয়ে ধন্দ।
জেলমুক্তির পরই বিধানসভায় গিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সেই সময় বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। মানিককে দ্রুত বিধানসভার কাজে ফেরার কথা বলেন স্পিকার। প্রসঙ্গত, শিক্ষা কেলেঙ্কারি কাণ্ডে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাথক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ওএমআর শিট নষ্ট করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
জেলবন্দি দশায় একাধিকবার আদালতে অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন মানিক। পরে জেল থেকে মুক্তি পেতেই বিধানসভার টিএ-ডিএ সেকশনে চিকিৎসা সংক্রান্ত একাধিক বিল জমা দিয়েছেন বিধায়ক। সেই সময়ই জেলে থাকাকালীন সময়ের বকেয়া বেতনের আর্জি জানান তিনি। বারংবার আবেদন করলে এবিষয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেল অর্থাৎ এজির পরামর্শ চান বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: জোড়া খুনের মামলা! তদন্ত থেকে অব্যাহতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ IPS দময়ন্তী সেন! হঠাৎ কী হল?
যদিও এজি সাফ জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী জেলে থাকালীন সময়ের বেতনের টাকা মানিক পাবেন না। তবে বেতন না পেলেও মেডিক্যাল বিল পাবেন তিনি। সূত্রের খবর ম, ইতিমধ্যেই এবিষয়ে বিধানসভার স্পিকার প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের সঙ্গে কথা বলেছেন। জেলে থাকাকালীন বাইরে থেকে বেশ কিছু ওষুধ আনতে হয়েছিল বিধায়কের জন্য। বিধানসভায় বিল পাঠালে সেই ওষুধের টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে।