‘দুর্গা, কালী, লক্ষ্মী ঠাকুর ভাঙা সরকার’! সাসপেন্ড হতেই বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা তিনি। সেই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ চারজন বিজেপি (BJP) বিধায়ককে এক মাসের জন্য রাজ্য বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। নন্দীগ্রামের পদ্ম বিধায়কের পাশাপাশি সাসপেন্ড করা হয়েছে অগ্নিমিত্রা পাল, বিশ্বনাথ কারক এবং বঙ্কিম ঘোষকে। এরপরেই তৃণমূল সরকারের (Trinamool Government) বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন শুভেন্দু। ‘দুর্গা, কালী, লক্ষ্মী ঠাকুর ভাঙা সরকার’ বলে তোপ দাগেন তিনি।

সাসপেন্ড হতেই বিস্ফোরক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)!

চলতি বছর সরস্বতী পুজোর সময় বাংলার নানান প্রান্ত থেকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ সামনে আসে। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, সেই নিয়েই মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যেতেই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে বিরোধী দলনেতা কাগজ ছুঁড়ে মারেন বলে অভিযোগ। এর প্রেক্ষিতেই শুভেন্দু, অগ্নিমিত্রা সহ চারজন বিজেপি বিধায়ককে এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়।

পরবর্তীতে বিধানসভার বাইরে এই নিয়ে সরব হন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। কাগজ ছুঁড়ে মারার অভিযোগ নস্যাৎ করে তিনি দাবি করেন, শুধু কার্যবিবরণীর কাগজ ছেঁড়া হয়েছে। তিনি বলেন, সরস্বতী পুজো করতে যে আদালতে যেতে হয়েছে, পুলিশ নামিয়ে যে পুজো করতে হয়েছে, তার জন্য আজ মুলতুবি প্রস্তাব আনা হয়েছিল। তবে তা খারিজ হয়ে যায়। সেই কারণে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এরপরেই তাঁদের সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

আরও পড়ুনঃ ‘আমাদেরই দলের দু-একজন…’! BJP-র অন্দরে চলছে প্রতারণা? বোমা ফাটালেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে (Trinamool Congress) ‘হিন্দু ধর্মের রীতিনীতি বিরোধী’, ‘হিন্দু বিরোধী’ বলে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা। একইসঙ্গে দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে সরকার চালাচ্ছে, তাতে মুসলিম লিগকেও হার মানাবে। ‘মুসলিম লিগ ২’ সরকার চলছে বলে দাবি করেন তিনি।

শুভেন্দু এদিন বলেন, তৃণমূল (TMC) সরকার হল, দুর্গা ঠাকুর ভাঙা সরকার, কালী ঠাকুর ভাঙা সরকার, লক্ষ্মী ঠাকুর ভাঙা সরকার। আর সেই জন্য হিন্দুদের হয়ে কথা বলার কারণে তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

Four BJP MLA including Suvendu Adhikari got suspended

অন্যদিকে বিধানসভার (West Bengal Assembly) অধ্যক্ষ বিমান অবশ্য পরিষ্কার জানিয়েছেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে শুভেন্দুদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বিরোধী দলনেতা সহ কিছু সদস্য যেমন আচরণ করেছেন, সেটা কখনওই কাম্য নয়। যে সরকারি কাগজ প্রদান করা হয়, সেগুলি ছিঁড়ে অধ্যক্ষের চেয়ারের দিকে ছুঁড়ে মারা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

অধ্যক্ষ বিমান বলেন, এহেন আচরণ নিন্দনীয়। এর প্রেক্ষিতেই বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ একটি প্রস্তাব এনেছিলেন। সদস্যরা ৩০ দিনের সাসপেনশনের প্রস্তাবে সম্মতি জানান। এরপরেই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), অগ্নিমিত্রা পাল, বিশ্বনাথ কারক এবং বঙ্কিম ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর