বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের (Recruitment Scam) সূত্রে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku)। এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন ধরে জেলবন্দি তিনি। এর আগে অবশ্য ইডির মামলা জামিন পেয়েছেন। তবে সিবিআই তাঁকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করে মামলা দায়ের করায় জেলমুক্তি হয়নি। এবার ‘কাকু’র জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে জামিনের আর্জি মঞ্জুর করা হয়েছে।
একগুচ্ছ শর্ত বেঁধে জামিন দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)!
মঙ্গলবার উচ্চ আদালতের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই বিষয়ক মামলার শুনানি ছিল। সেই সময় কালীঘাটের কাকুর বর্তমান শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়। সিবিআইয়ের মামলায় এই অন্তর্বর্তী জামিনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালত সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
সম্প্রতি শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ (Sujay Krishna Bhadra)। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি। এই আবহেই মিলল জামিনের খবর। তবে জেল থেকে বেরোতে বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুনঃ OBC সার্টিফিকেট বাতিল মামলা তালিকা থেকে মুছে দিল সুপ্রিম কোর্ট! সামনে বড় আপডেট
বাড়ি এবং হাসপাতাল ছাড়া কোথাও যেতে পারবেন না কালীঘাটের কাকু। তাঁর বাড়িতে সবসময় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। তিনি যে দু’টি মোবাইল ব্যবহার করছেন, সেগুলির নম্বর সিবিআইকে (CBI) জানাতে হবে। এছাড়া তিনি যদি চান, তাহলে এই সময়ের মধ্যে দরকারে অপারেশনও করাতে পারেন। সবমিলিয়ে দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে সহায়তা করতে হবে। জানা যাচ্ছে, কালীঘাটের কাকুর অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ অবধি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তের জন্য সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছে সিবিআই। সেটা নিয়ে তদন্ত চলছে। এই আবহেই নিজের শারীরিক অসুস্থতার কারণে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। তার প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের কাছে ‘কাকু’র শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট চায় হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেটা খতিয়ে দেখার পর মানবিক দিক বিবেচনা করে শর্তসাপেক্ষে জামিনের অনুমতি দেয় বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, নথিপত্র হাতে আসার পর দরকারি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলেই জেলমুক্তি হবে কালীঘাটের কাকুর। আগামী ২০ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।