বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল বিধানসভা (West Bengal Assembly) থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পরেই তৃণমূল সরকারকে একহাত নিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আজ বিধানসভায় বক্তব্য রাখার সময় নাম না করেই নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ককে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ‘একটা ধর্মকে বিক্রি করে তো খাচ্ছেন’! মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুভেন্দুকে ঝাঁঝালো আক্রমণ মমতার (Mamata Banerjee)!
গতকালের পর আজও বিধানসভার বাইরে সাংবাদিক বৈঠক থেকে তৃণমূল সরকারকে সাম্প্রদায়িক বলে তোপ দাগেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মদতেই পশ্চিমবঙ্গের বুকে জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত। সেই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জোর গলায় বলেন, ‘আমার সঙ্গে জঙ্গিদের সম্পর্ক রয়েছে? প্রমাণ দিলে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার ছেড়ে দেব’।
মমতা (Mamata Banerjee) জানান, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এহেন মন্তব্যের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনি চিঠি লিখবেন। একইসঙ্গে বলেন, এই রাজ্যে মাফিয়াদের কোনও স্থান নেই। ‘দাঙ্গাকারী, সন্ত্রাসকারীদের আমরা স্থান দিই না’, বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ উচ্চমাধ্যমিকের আগেই বড় খবর! শিক্ষকদের জন্য কড়া নির্দেশিকা জারি করল সংসদ
বিধানসভায় (WB Assembly) বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা আরও বলেন, ‘ওদের নাকি বলতে দেওয়া হয় না! আর কত বলবেন?’ তাঁর কথায়, ‘আপনারা আবার বড় বড় কথা বলেন কী করে! একটা ধর্মকে বিক্রি করে তো খাচ্ছেন! মনে রাখবেন, আমরা সব ধর্মকে সম্মান করি’।
গতকাল বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে কাগজ ছুঁড়ে মারার অভিযোগ ওঠে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। যার জেরে শুভেন্দু, অগ্নিমিত্রা সহ চারজন বিজেপি (BJP) বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, বাম আমলে তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিধানসভায় কাগজ ছিঁড়েছিলেন। এদিন সেই ঘটনা নিয়েও মুখ খোলেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যখন কাগজ ছিঁড়েছিলাম, সেই সময় আমি একা ছিলাম। কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম, আমায় একটা কথা বলতে দিত না। অথচ আমাদের ৩৯% ভোট ছিল। একটা বক্তব্য রাখতে দেওয়া হতো না। একটা প্রশ্ন করতে দেওয়া হতো না। ওটা বাধ্য হয়েই করতে হয়েছিল’।
মমতার (Mamata Banerjee) কথায়, ‘বর্তমানে তো সেই পরিস্থিতি নেই। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। প্রত্যেককে বলতে দেওয়া হয়। তবে শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা হলে আর কী বা বলা যেতে পারে’। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কথা বলাও একটা শিল্প। বক্তৃতা মানে কাউকে আঘাত করা, সাম্প্রদায়িকভাবে ভাগ করে দেওয়া নয়’।