বাংলা হান্ট ডেস্ক: হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই চরম চাপে রয়েছে ভারতের (India) পড়শি দেশ পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক দিক থেকেও বেড়েছে টেনশন। পাকিস্তানের আশঙ্কা, এবার ট্রাম্প প্রশাসনে খুব কম নজর দিতে পারে তাদের দেশের দিকে। এদিকে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে পাকিস্তান ছিল আমেরিকার প্রধান মিত্র। সেই সময়ে আমেরিকা আফগানিস্তানে তালিবানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। যদিও, সেই সময়েও ট্রাম্প পাকিস্তানের দ্বৈত আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু পাকিস্তানের জেনারেলরা এই উদ্বেগ উপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু, এবার বিষয়টি সম্পূর্ণ অন্যরকম।
শোচনীয় অবস্থা ভারতের (India) পড়শি দেশের:
আসলে ট্রাম্পের বিগত মেয়াদ তালিবান একটি বড় ইস্যু হিসেবে বিবেচিত হলেও এবারে চিত্রটা অন্যরকম। ট্রাম্প ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তালিবানের সাথে একটি চুক্তি করেছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের অগাস্টে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করা হয়। এবার ট্রাম্প দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া নিয়ে আগ্রহী নন। বরং, তাঁর বড় ফোকাস রয়েছে ইরানের বিরুদ্ধে। ইরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন না করে তা নিশ্চিত করতে তিনি বদ্ধপরিকর। ইতিমধ্যেই ওই দেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও কঠোর করা হয়েছে।
পাকিস্তান একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে: আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে ট্রাম্প প্রশাসন আফগানিস্তানের ওপরও নজর রাখবে। কিন্তু পাকিস্তানকে তারা এইসব কর্মকাণ্ডে জড়িত করতে চায় এমন কোনও প্রমাণ নেই। মোদী-ট্রাম্প বৈঠকের পর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জারি করা ভারত (India)-আমেরিকার যৌথ বিবৃতিতে এটি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয়েছে। এদিকে, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসের প্রেক্ষাপটে যৌথ বিবৃতিতে পাকিস্তানের উল্লেখ করায় ক্ষুব্ধ হয়েছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: মায়ের ইচ্ছেপূরণ করতে পিস্তল ছাড়বেন মনু? জন্মদিনে সামনে এল “মনের কথা”
ভারত-আমেরিকা বন্ধুত্ব নিয়ে ঝামেলা: ওই বিবৃতিতে, নেতৃত্বরা ২৬/১১ মুম্বাই এবং পাঠানকোট হামলার অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে এবং ওই দেশের ভূখণ্ডকে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর জন্য ব্যবহার না করা নিশ্চিত করার জন্য পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এমতাবস্থায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে, পাকিস্তান এই প্রতিক্রিয়াকে একতরফা, বিভ্রান্তিকর এবং কূটনৈতিক নিয়মের পরিপন্থী বলে বর্ণনা করে।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বিশেষ ছাড়! টিম ইন্ডিয়ার খেলোয়াড়দের জন্য বড় পদক্ষেপ BCCI-র
পাকিস্তানের আসল সমস্যা হল, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের (India) বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। পান্নু মামলা এবং কানাডায় নিজ্জার হত্যা মামলার বিষয়টিও আলোচনার বাইরে চলে গেছে। এটি পাকিস্তানের জেনারেলদের জন্য হতাশার বিষয় হবে। কারণ এই বিষয়গুলি উত্থাপন করার ক্ষেত্রে তাদের ইচ্ছে ছিল।