বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারত (India) সরকার শীঘ্রই দেশে তালিবানের এক শীর্ষ প্রতিনিধিকে গ্রহণ করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এটি কাবুলের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং আফগানিস্তানে চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় নয়াদিল্লির নেওয়া একটি নতুন পদক্ষেপ বলে অনুমান করা হচ্ছে।
বড় পদক্ষেপ ভারতের (India):
জানিয়ে রাখি যে, ইকোনমিক টাইমসে ব্লুমবার্গকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে, এদিকে এই বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তালিবান-নেতৃত্বাধীন সরকার নয়াদিল্লিতে আফগান দূতাবাসের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য দুই সম্ভাব্য প্রার্থীকে চিহ্নিত করেছে।
তাঁদের মতে, তালিবান আধিকারিক ভারতের (India) পক্ষ থেকে একজন কূটনীতিক হিসাবে স্বীকৃত হবেন না। তবে, তিনি সেখানে সরকারের শীর্ষ প্রতিনিধি হবেন। তাঁরা এটাও জানান, তালিবানরা দূতাবাস, অনুষ্ঠান বা সরকারি যানবাহনে নিজেদের পতাকা ওড়াতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: অনুশীলনের সময়ে পড়ল ২৭০ কেজির রড! তৎক্ষণাৎ মৃত্যু ভারতীয় পাওয়ারলিফ্টারের, ভাইরাল ভিডিও
তালিবান ২০২১ সালে ক্ষমতা দখল করে: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বর্তমানে চিন, পাকিস্তান ও রাশিয়াসহ মাত্র কয়েকটি দেশ তালিবান কূটনীতিকদের গ্রহণ করেছে। ২১২১ সালে তালিবানরা আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে তালিবানদের নিন্দা করা হয়েছিল। অন্যান্য দেশের মতো ভারতও (India) সেই সময় আফগানিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এর পাশাপাশি, ভারত কাবুলে তার দূতাবাস বন্ধ করে দেয় এবং ওই দেশের সাথে যোগাযোগ সীমিত করে।
আরও পড়ুন: ৫ বছরে ৫৫০ শতাংশেরও বেশি রিটার্ন! মার্কেটে ঝড় তুলছে টাটা গ্রুপের এই শেয়ার
প্রতিনিধি পদের প্রতিদ্বন্দ্বী কে: আধিকারিকরা জানিয়েছেন দোহার আফগান দূতাবাসে ৩০-এর দশকের প্রথম দিকে কূটনীতিক নাজিব শাহীন, নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রদূত-স্তরের ভূমিকার প্রধান প্রতিযোগী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। তিনি প্রায় এক দশক ধরে তালিবানদের সাথে কাজ করেছেন এবং তিনি কাতারে ইসলামিক সরকারের রাষ্ট্রদূতের পুত্র। একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, বিদেশ মন্ত্রকে কর্মরত শওকত আহমেদজাই এই ভূমিকার জন্য অন্য একজন প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।