বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ পরিষেবা (Ferry Service)। যে কারণে নাকাল হতে হচ্ছে যাত্রীদের। আগে হাওড়ার শিবপুর থেকে বাবুঘাট অবধি লঞ্চ চলাচল করতো। তবে বিগত প্রায় এক বছর ধরে সেই পরিষেবা বন্ধ। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা।
কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়েরের পর যা হল…
হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতির অধীন শিবপুর থেকে বাবুঘাট অবধি লঞ্চ (Ferry) চলাচল করতো। এর ফলে সুবিধা হতো বহু যাত্রীর। ভিড়ের কারণে তিনটি কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি করা হতো। সহজেই লঞ্চে করে কলকাতায় চলে আসতে পারতেন যাত্রীরা। তবে বিগত প্রায় এক বছর ধরে এই পরিষেবা বন্ধ। প্রাথমিকভাবে অনেকে মনে করেছিলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই হয়তো ফের লঞ্চ চলাচল শুরু হয়ে যাবে। তবে এক বছর কেটে গেলেও তেমনটা হয়নি।
জানা যাচ্ছে, এখানে জেটিঘাট সংস্কারে শ্লথ থেকে শুরু করে পুরনো লঞ্চ খারাপ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিত। তবে গত বছরের মার্চ মাস থেকে এই রুট একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে এখন বাসে করে কলকাতায় (Kolkata) আসতে হয় যাত্রীদের। কেউ কেউ আবার চাঁদপাল ঘাট অবধি গিয়ে সেখান থেকে লঞ্চে করে হাওড়ায় চলে আসেন। তবে এর ফলে বেশি সময় লাগে।
আরও পড়ুনঃ ‘পুরোহিত, ইমামরা খুব সাহায্য করেছিলেন’! সব ধর্মের প্রতি কেন ভালোবাসা? ‘ফাঁস’ করলেন মমতা
যাত্রীদের অসুবিধার পাশাপাশি হাওড়া শিবপুর-বাবুঘাট রুটের লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাপে পড়েছেন বহু দোকানদার। এই লঞ্চ পরিষেবাকে সামনে রেখে অনেকে দোকান দিয়েছিলেন। লঞ্চ যখন চলাচল করতো, তখন নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে বাসিন্দা, অনেকে দোকানে আসতেন। তবে এখন পরিষেবা বন্ধ থাকায় কেউই সেভাবে আসেন না। ফলে রুজিরুটিতে টান পড়েছে বহু ব্যবসায়ীর।
এমতাবস্থায় এই রুটের লঞ্চ পরিষেবা যাতে ফের চালু হয়, সেই আর্জিতে গত বছর ডিসেম্বর মাসে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। তবে এখনও সেই মামলার রায়দান হয়নি। ফলে এখনও বিকল্প পথেই যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
জানা যাচ্ছে, কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হওয়া এই জনস্বার্থ মামলায় একাধিক মামলাকারী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন স্থানীয় দোকানদার দেবু মাইতি। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পরিষেবা যখন চালু ছিল, তখন সারাদিন ক্রেতা থাকত। এখন কেনাবেচা নেই। কোনও ভাবে দিন গুজরান করছি। এভাবে চলতে থাকলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। এখন আমরা প্রত্যেকে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছি’।