বাংলাহান্ট ডেস্ক : শক্তি বৃদ্ধিতে হু হু করে এগোচ্ছে ভারতীয় (India) সেনাবাহিনী। আত্মনির্ভরশীল ভারত দেশীয় অস্ত্রের জোরেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজের দাপট দেখাচ্ছে। এমনকি এবার বিদেশি অস্ত্রের থেকেও মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হাতিয়ার। মার্কিন অস্ত্রও টিকতে পারল না ভারতীয় (India) মারণাস্ত্রের কাছে।
ভারতীয় (India) অস্ত্রের কাছে হারল মার্কিন অস্ত্র
নাম .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম। যদিও ভারতীয় (India) কম্যান্ডোরা ডাকেন ‘সাবার’ নামে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই স্নাইপার রাইফেল ব্যবহার করেই বড় সাফল্য পেল ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড বাহিনী। সর্বভারতীয় পুলিশ কম্যান্ডো প্রতিযোগিতার স্নাইপার ক্যাটেগরিতেই এল সেরার পুরস্কার। যেখানে দেশীয় স্নাইপার ছিনিয়ে নিয়েছে প্রথম স্থান, সেখানেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আমেরিকার ৫০ ক্যালিবারের ‘ব্যারেট’।
কী কী বিশেষত্ব রয়েছে: সব দিক দিয়ে বিচার করলে সাবার এর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এই ব্যারেটকেই। যা ব্যবহার করে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশের স্পেশ্যাল সন্ত্রাস দমন কম্যান্ডো বাহিনী। ভারতীয় (India) অস্ত্রের সামনে টিকতেও পারেনি আমেরিকার অস্ত্র। এই স্নাইপার রাইফেল প্রস্তুত করে এসএসএস ডিফেন্স।
আরো পড়ুন : বাংলাদেশে নেই শান্তি! হাসিনার পর এবার বড় বিপদে পড়শি দেশের রাষ্ট্রপতি
কী অস্ত্র ব্যবহার করে ভারতীয় সেনা: প্রায় দেড় কিমি দূরে থেকে নিখুঁত নিশানা ভেদ করতে সক্ষম .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম। বিদেশের কয়েকটি কম্যান্ডো বাহিনী ইতিমধ্যেই এই স্নাইপার রাইফেল ব্যবহার করছে বলে খবর। উত্তরোত্তর এর চাহিদা আরো বাড়বে বলেই আশা করছে ওয়াকিবহাল মহল। বর্তমানে ভারতীয় (India) সেনা ব্যবহার করে রুশ ড্রাগোনভ, ইজরায়েলি আইএমআই গালিল, জার্মানের ‘হেকলার অ্যান্ড কখ্’ নির্মিত পিএসজি ১ এবং ‘মাউসার’ নির্মিত এসপি৬৬। সঙ্গে .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম এবং কিছু কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য পুলিশের কম্যান্ডো বাহিনী ব্যবহার করে মার্কিন ‘ব্যারেট’।
আরো পড়ুন : মোদীর “আত্মনির্ভর ভারত” গড়ল ইতিহাস! প্রথমবারের মতো আমেরিকা কিনতে চলেছে এই দেশীয় অস্ত্র
প্রসঙ্গত, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম স্নাইপার রাইফেল হল ‘ঘাতক’। প্রায় দেড় দশক আগে পশ্চিমবঙ্গের ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে তৈরি হয়েছিল এই স্নাইপার রাইফেল। অন্যদিকে আমেরিকার তৈরি জেট যুদ্ধবিমান ‘স্যাবার’ ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিল পাক বায়ুসেনা।