বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা (Primary Recruitment Scam) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই (CBI)। এই মামলায় গ্রেফতারির সংখ্যা একাধিক। এবার এই দুর্নীতি কাণ্ডেই নাম জড়াল এক বিজেপি (BJP) নেতার। সম্প্রতি বিশেষ সিবিআই আদালতে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখানেই নাম রয়েছে পদ্ম নেতা অরুণ হাজরার।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Primary Recruitment Scam) নয়া মোড়?
সিবিআইয়ের দেওয়া সাম্প্রতিক চার্জশিটে তিনজনের নাম রয়েছে। কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া বিজেপি নেতা অরুণ হাজরার নাম রয়েছে সেখানে। রিপোর্ট বলছে, এর আগে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এই ব্যক্তির নাম সামনে আসেনি। অরুণ আদতে উত্তর কলকাতার এক বিজেপি নেতা বলে খবর।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ারে একাধিকবার দলবদল করেছেন অরুণ হাজরা। একদা তিনি কংগ্রেস করতেন। পরবর্তীতে নাম লেখান তৃণমূলে। কিছুদিন সেখানে থাকার পর বিজেপিতে যোগ দেন। জানা যাচ্ছে, তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’, ‘বিপ্লব’ ঘটিয়ে তাপস রায় যখন দলবদল করেছিলেন, সেই সময়ই ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে নাম লেখান অরুণ। এবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Primary Recruitment Scam) জড়াল তাঁর নাম।
আরও পড়ুনঃ টানা ২ দিন ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস! দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলা ভিজবে? একনজরে আবহাওয়ার খবর
জানা যাচ্ছে, সিবিআই চার্জশিটে দাবি করেছে, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা সরাসরি সুজয়কৃষ্ণ তথা কালীঘাটের কাকুকে (Kalighater Kaku) দিতেন অরুণ। এমনকি সেই তালিকা থেকে প্রায় ৫০ জন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী রাজ্যের নানান বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছেন বলেও জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এক্ষেত্রে চাকরির বিনিময়ে প্রত্যেক প্রার্থীর থেকে অরুণ ৫-৮ লক্ষ টাকা আয় করেছেন বলে খবর। এভাবেই অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে বিপুল টাকা উপার্জন করেছেন তিনি।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Primary Recruitment Scam) সিবিআইয়ের দেওয়া তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে অরুণের ‘কর্মকাণ্ডে’র কথা ফাঁস করেছে সিবিআই। জানা যাচ্ছে, সেখানে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ তুলে ২০১ নং ধারা যোগ করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই আদালতের কাছে ১১ জন সাক্ষীর গোপন জবানবন্দি নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। চার্জশিটে প্রতারণা, জালিয়াতি, দুর্নীতিদমন আইন এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারাও উল্লেখ করা হয়েছে বলে খবর।