বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রায় চার বছর ধরে জেলবন্দি। অবশেষে ৬ তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতাকে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। শুক্রবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক (Justice Debangshu Basak) ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে এই জামিন মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের জামিন দিল উচ্চ আদালত।
বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)!
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আবহে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাংলার নানান প্রান্ত। সেই বছরেরই ২ মে, ভোটের ফলপ্রকাশের দিন বাড়ির সামনে খুন হন নদিয়ার গাংনাপুরের বিজেপি নেতা উত্তম ঘোষ। তাঁর পরিবারকেও মারধরের অভিযোগ ওঠে। পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, রাজনৈতিক কারণে শাসকদলের কর্মীরা উত্তমকে খুন করেছেন।
বিজেপি নেতা খুনের এই ঘটনায় নাম জড়ায় সোমনাথ দত্ত, শুকদেব বিশ্বাস, রবি বিশ্বাস, শ্যামল বিশ্বাস, ধনঞ্জয় মণ্ডল এবং গোপাল ছেত্রী নামের ৬ জন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার। পরবর্তীতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ অনুযায়ী নির্বাচন পরবর্তী হিংসার তদন্তে নামে সিবিআই। নদিয়ার বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় ওই ৬ জন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
আরও পড়ুনঃ ১০০০-১২০০ অতীত! এবার মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ২৫০০ টাকা! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
শুক্রবার উচ্চ আদালতে তাঁদের জামিন মামলার শুনানি ছিল। এদিন অভিযুক্তদের আইনজীবী আবিররঞ্জন নিয়োগী আদালতে বলেন, বিগত চার বছর ধরে তাঁর মক্কেলরা জেলবন্দি। গোটা রাজ্য জুড়ে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। বহু মামলায় অভিযুক্তদের জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে তাঁর মক্কেলদেরও এবার জামিন (Bail) দেওয়া হোক।
অভিযুক্তদের আইনজীবী আরও বলেন, ইতিমধ্যেই উত্তম ঘোষ খুনের তদন্ত সম্পন্ন করেছে সিবিআই (CBI)। চার্জশিটও জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমতাবস্থায় তাঁর মক্কেলরা তদন্তে কোনও প্রভাব খাটাতে পারবে না। কেবলমাত্র বিচার শেষের কারণ দেখিয়ে অভিযুক্তদের জেলবন্দি করে রাখা ঠিক নয়। এই মর্মে অভিযুক্তদের জামিন দেওয়ার আর্জি জানান আইনজীবী।
শুক্রবার ওই ৬ তৃণমূল নেতার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। শুনানি শেষে বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ১০,০০০ টাকার বন্ডে অভিযুক্তদের শর্তসাপেক্ষে জামিন দিতে পারবে রানাঘাট আদালত। তবে পরবর্তীতে তাঁরা যদি জামিনের শর্ত না মানেন, সেক্ষেত্রে নিম্ন আদালত জামিন বাতিল করতে পারবে।