বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ। শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি বাকি রয়েছে শুধু ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা। ফেব্রুয়ারি মাসে সাধারণত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তবে এবছর মাধ্যমিকের ভৌত বিজ্ঞান পরীক্ষার দিন ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় বেশ কিছু জেলায় কিছুক্ষণের জন্য বিঘ্নিত হয়েছিল পরীক্ষা। ঝড়-বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হওয়ায় পরীক্ষার হল অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় কিছুক্ষণের জন্য পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছিল। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় এই অকাল বৃষ্টি এবার চিন্তায় ফেলেছে উচ্চ-মাধ্যমিক (Higher Secondary) শিক্ষা সংসদকে।
উচ্চ-মাধ্যমিকের (Higher Secondary) প্রথম সিমেস্টারে বৃষ্টি নিয়ে চিন্তায় শিক্ষা সংসদ
আগামী দিনে উচ্চ-মাধ্যমিকের (Higher Secondary) পরীক্ষা দুটি সেমিস্টারে ভাগ করা হচ্ছে। প্রথম সেমিস্টার হবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে। অথচ সেপ্টেম্বর মাসে ঘোর বর্ষা থাকে। সঙ্গে কখনেও কখনও ঘূর্ণিঝড় দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের চিন্তা উচ্চ-মাধ্যমিকের প্রথম সেমিস্টার সময় মতো করা যাবে তো?
আগামী মাসেই ৩ মার্চ থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে উচ্চ-মাধ্যমিক (Higher Secondary)। এবছরই শেষবারের মতো দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার্থীরা প্রথাগত পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিচ্ছেন। উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ৩ মার্চ থেকে যে উচ্চ মাধ্যমিক শুরু হচ্ছে সেই পরীক্ষায় আবহাওয়া খারাপ হওয়ার বিষয় নিয়ে বিশেষ চিন্তা নেই। পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০ টা থেকে, চলবে ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। মার্চ মাসের সকালের দিকে ঝড় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবার যেটা হয়েছে সেটা ব্যতিক্রম। তবে একইসাথে তিনি জানিয়েছেন, মাধ্যমিকের মত অল্প কিছু সময়ের জন্য ঝড় বৃষ্টি হলে সেটা সামলে নেওয়া যাবে।
সংসদ সভাপতির কথায়, ‘চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে উচ্চ-মাধ্যমিকের প্রথম সেমিস্টার নিয়ে আমরা খুব উদ্বিগ্ন রয়েছি। গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা বলছে সেপ্টেম্বরে ঘোর বর্ষা থাকে। কিছু জেলা বন্যায় প্লাবিত হয়। এমন কিছু জেলা রয়েছে যেখানে বন্যার কারণে স্কুল ছুটি দিতে হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা গোটা রাজ্যজুড়ে হয়। তাই বৃষ্টি হলে এই সমস্ত জেলায় নির্ধারিত সূচিতে প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: উচ্চ-মাধ্যমিকে ফিরছে ক্যালকুলেটর? বড় সিদ্ধান্ত নিল শিক্ষা সংসদ
সমস্যা সমাধানের জন্য কি করণীয় তা নিয়েও ইতিমধ্যে সংসদ কর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলেও খবর। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনো সমাধান মেলেনি। সেপ্টেম্বর মাসের বৃষ্টি নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরাও। তাঁদের মতে প্রথম সেমিস্টার পিছিয়ে যদি অক্টোবর বা নভেম্বরে করা যায় তাহলে আর বর্ষার মধ্যে উচ্চ-মাধ্যমিকের (Higher Secondary) প্রথম সেমিস্টার দিতে হবে না। তবে অক্টোবর মাসে পুজোর ছুটি থাকে। তাই ওই সময় স্কুলে প্রথম সেমিস্টার করা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সংসদ কর্তাদের মতে এক্ষেত্রে শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে বিশেষ অনুমতি নিয়ে স্কুল খুলিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যায় কিনা সেটা দেখতে হবে।
সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব এপ্রসঙ্গে বলেছেন,’ নভেম্বরে প্রথম সিমেস্টার হলে সেটা আবার অনেক দেরি হয়ে যাবে। তখন আবার দ্বিতীয় সেমিস্টার মার্চের প্রথমে না করে পিছোতে হবে। সেটাও কতটা সম্ভব তা খতিয়ে দেখতে হবে।’ তবে একই সাথে তিনি জানিয়েছেন দ্বিতীয় সেমিস্টার মার্চের শুরুতে না করে যদি মার্চের শেষে করা যায়, তাহলে এপ্রিলের প্রথমেই পরীক্ষা শেষ হয়ে যাবে। এরফলে উচ্চ-মাধ্যমিকের রেজাল্টও সময় মতো বের করা যাবে বলে মনে করছেন তিনি। চিরঞ্জীব জানিয়েছেন এই নিয়ে খুব দ্রুত শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করা হবে।