বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝেঁপে বৃষ্টি (Rain) হয়েছে। ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টি, সেই সঙ্গেই ডিভিসির ছাড়া জল, দুইয়ের জেরে জল জমে যায় বিঘার পর বিঘা চাষের জমিতে। কোথাও হাঁটু অবধি, কোথাও আবার কোমর অবধি জল! যা দেখে চিন্তায় পড়ে যান বহু আলু চাষি (Potato Farmers)। এই আবহে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল সরকার (Government of West Bengal)। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের পাশে দাঁড়াতে রাতারাতি নেওয়া হল বিরাট উদ্যোগ।
চাষিদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এল রাজ্য (Government of West Bengal)!
বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের উত্তর নিত্যানন্দপুর কার্যত দামোদরের পাড়ে অবস্থিত। এর আগে আমনের মরসুমে ডিভিসির দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলে এখানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল চাষাবাদ। সেই ধাক্কা কোনও ভাবে সামলে ঋণ নিয়ে রবি মরসুমে আলু চাষ করেছিলেন বহু কৃষক। তবে বৃহস্পতিবারের বৃষ্টি এবং বোরো চাষের সেচের জন্য ডিভিসির (DVC) থেকে ছাড়া জলের কারণে ভেসে যায় প্রায় একশো বিঘা আলুর জমি।
জানা যাচ্ছে, উত্তর নিত্যানন্দপুর গ্রাম সংলগ্ন বিঘার পর বিঘা জমিতে হুড়মুড়িয়ে জল ঢুকে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই জমিতে জল জমে যায়। কোমর অবধি জলে নেমেই অনেকে আলু (Potato) তুলে আনার চেষ্টা চালান। তবে উৎপাদিত ফসলের খুব অল্প অংশই তুলে আনা যায় বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ স্বামীর বিরুদ্ধে অত্যাচারের মামলায় বড় নির্দেশ! সুপ্রিম-সিদ্ধান্তে তোলপাড় দেশ
এই পরিস্থিতিতে চোখে জল চলে আসে অনেকের। কেউ কেউ বলছেন, আর কয়েকটা দিন পরেই আলু তোলা হতো। তার আগেই সব শেষ! এদিকে এই গ্রামে অকাল বন্যার খবর পাওয়ার পর সেখানে উপস্থিত হন কৃষি দফতর এবং স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে বড় নির্দেশ দেওয়া হয়।
জানা যাচ্ছে, সরেজমিনে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখার পর সুফল বাংলাকে সহায়ক মূল্যে ক্ষতিগ্রস্ত আলু কিনে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় (Government of West Bengal)। সেই সঙ্গেই ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ফসল বিমায় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলে প্রশাসন।