বাংলাহান্ট ডেস্ক : ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীনের পর ভারতের (India) অবস্থান ছিল বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশগুলির তালিকায়। তবে ভারতের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নতি আজ ভারতকে বিশ্ব মানচিত্রে অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিতি দিয়েছে। এই মুহূর্তে ভারত (India) হয়ে উঠেছে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম ধনকুবেরদের দেশ।
চিনকে টক্কর ভারতের (India)
ইউবিএস-এর বিলিয়নেয়ার অ্যাম্বিশন রিপোর্ট দাবি করেছে, ধনকুবেরদের সংখ্যার নিরিখে আমেরিকা ও চিনের পরই রয়েছে ভারতের (India) নাম। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে ২০২৪ সালে মোট বিলিয়নেয়ার ছিলেন ১৮৫ জন। সেই সময়ে আমেরিকা ও চিনে মোট বিলিয়নেয়ারদের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৮৩৫ ও ৪২৭ জন। তবে সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয়, ২০১৫ সাল থেকে ভারত হয়ে উঠেছে ১২৩ শতাংশ বেশি বিলিয়নেয়ারদের দেশ।
আরোও পড়ুন : ওলটপালট সমস্ত স্লট, নতুন মেগার জন্য কোপ দুটি সিরিয়ালে! “তোলপাড়” চলছে জি বাংলায়
একাধিক সূত্র অনুযায়ী, গত বছর ভারত থেকে নতুন করে ৩২ জন নাম লিখিয়েছেন বিলিয়নেয়ারদের তালিকায়। পাশাপাশি, ৪২.১ শতাংশ পর্যন্ত সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতীয় বিলিয়নেয়ারদের। বর্তমানে ভারতের বিলিয়নেয়ারদের মোট সম্পদের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯০৫.৬ বিলিয়ন ডলারে। পরিসংখ্যানে চোখ রাখলে দেখা যায়, আমেরিকা থেকে গত বছর ৮৪ জন নতুন করে নাম লিখিয়েছেন বিলিয়নেয়ারদের তালিকায়।
আরোও পড়ুন : জানেন ভারতের কোন রাজ্যে রয়েছে সবথেকে বেশি সংখ্যক স্টেশন? চমকে যাবেন স্টেটের নামটা শুনলে
আবার অন্যদিকে, বিলিয়নেয়ারদের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন চিনের (China) ৯৩ জন ধনকুবের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (United States of America) যেখানে বিলিয়নেয়ারদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪.৬ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৫.৮ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, সেখানে চিনের বিলিয়নেয়ারদের (Billionaire) মোট সম্পদের পরিমাণ ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলারে হ্রাস পেয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভারতে আগামী ১০ বছরে আরও বৃদ্ধি পাবে বিলিয়নেয়ারদের সংখ্যা। চিনের চার বছর আগের অবস্থার সাথে সমান হবে এই বৃদ্ধি। পাশাপাশি এই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ভারতের বাণিজ্য ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক পরিবারগুলির গুরুত্ব অপরিসীম। গত কয়েক প্রজন্ম ধরে সাফল্যের সাথে ব্যবসা করে যাচ্ছে এই পরিবারগুলি। বর্তমানে ভারতের শেয়ার বাজারে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ১০৮ টি পারিবারিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।