বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রের বঞ্চনা উপেক্ষা করে নিজের কোষাগার থেকেই বাংলার বাড়ি (Awas Yojana) করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। ইতিমধ্যেই প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকে গিয়েছে ১২ লক্ষ উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে। এবার দ্বিতীয় কিস্তির পালা। আগামী জুন মাসের মধ্যেই ‘বাংলার বাড়ি’ (গ্রামীণ) প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হবে বলে বাজেট প্রস্তাবে জানিয়েছে রাজ্য।
এই অবস্থায় প্রথম কিস্তির টাকা দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়ি তৈরির কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উপভোক্তাদের যাতে সবরকম সহযোগিতা করা হয় সেই লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, উপভোক্তাদের মধ্যে অধিকাংশই প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে তবে কিছু ক্ষেত্রে সমস্যার কারণে অনেকে কাজ শুরু করতে পারেননি। যাতে তাদের কাছে পৌঁছে সমস্যা সমাধান করা হয় সেই নিয়ে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে প্রতিটি জেলার নোডাল অফিসারের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করেন পঞ্চায়েত সচিব পি উল্গানাথান সহ দপ্তরের পদস্থ কর্তারা। প্রত্যেক জেলার আবাসে বাড়ি তৈরির অগ্রগতি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ছাড়া যাবে না। সেক্ষেত্রে যাতে সব কাজ দ্রুত এবং ঠিকঠাক হয় তাই এলাকায় ঘুরে বেশি নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাড়বে দুর্যোগ! রবিতে তুমুল ঝড়-বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের ৮ জেলায়, আবহাওয়ার উন্নতি এই দিন থেকে
প্রসঙ্গত, বাংলার একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। তালিকায় আবাস যোজনাও। কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় রাজ্য নিজেই বাংলার ২৮ লক্ষ প্রান্তিক মানুষকে বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে। গত বছর লোকসভা ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রতিশ্রুতি রেখে ইতিমধ্যেই প্রায় ১২ লক্ষ উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য। বাকি টাকাও কিস্তিতে পাঠানো হবে।
‘আই-প্যাক অসৎ, টাকা নিয়ে..,’ এ বার ফুঁসে উঠলেন কল্যাণ, একি ফাঁস করলেন!