বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন কার্যত ‘ওপেন বুক’। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovan Chatterjee) সম্পর্ক হোক, বা রত্না চট্টোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহবিচ্ছেদ, সবটা নিয়েই জনমানুষে চর্চা হয়। একাধিকবার সেই মামলায় শোভন-বান্ধবীকে টেনে এনেছেন রত্না (Ratna Chatterjee)। এও দাবি করেছেন, শোভনের আইনজীবী তথা তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে তাঁকে বলেছিলেন ‘বৈশাখী বাজে মেয়ে’। এই আবহে এবার মুখ খুললেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন।
রত্নাকে নিয়ে বিস্ফোরক শোভন (Sovan Chatterjee)!
কলকাতার সাবেক মেয়র দাবি করেন, বৈশাখীর সঙ্গে রত্নার কোনও তুলনা হয় না। ‘বৈশাখীর শালীনতা, চলাফেরা কোনও কিছুতেই রত্না ধারেকাছে আসতে পারবে না। রত্নার আয়নার সামনে দাঁড়ানো উচিত। আমার বিয়ে ভাঙার জন্য দূরদূরান্ত অবধি বৈশাখীর সম্পর্ক নেই’, বলেন তিনি।
একইসঙ্গে শোভন (Sovan Chatterjee) দাবি করেন, মস্তিষ্কের সমস্যার জন্য বিদেশে চিকিৎসা করাতে যান রত্না চট্টোপাধ্যায়। অথচ স্বামী হিসেবে এই বিষয়ে তাঁর কোনও ধারণাই ছিল না। শোভনের কথায়, ‘কোন জায়গায় ড্রামা করেননি সেটা দেখতে হবে। ওর বাড়ির কারোর শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই । রত্না চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে যত কম বলা যায়, তত ভালো। মস্তিষ্কের সমস্যার জন্য বিদেশে চিকিৎসা করাতে যান। অথচ স্বামী হিসেবে জানতাম না। মস্তিষ্ক বিকৃতি তাঁর, আমার নয়। মিথ্যে বলাটাই পেশাদারিত্ব রত্নার’।
আরও পড়ুনঃ ঘূর্ণাবর্তের জের! আজ তোলপাড় হতে পারে দক্ষিণবঙ্গ! ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস কোন কোন জেলায়?
তৃণমূল বিধায়ক রত্না ‘বৈশাখী ফোবিয়ায়’ (Baisakhi Banerjee) ভোগেন বলে দাবি করেন শোভন। তিনি বলেন, ‘আদালতে কিছু সাক্ষীর নাম দিয়েছেন। যা কথা বলছেন, বাস্তবের সঙ্গে দূরদূরান্ত অবধি সম্পর্ক নেই। কল্যাণদা দীর্ঘদিনের পরিচিত। কল্যাণদা বৈশাখী সম্বন্ধে বলবে, আমি একথা বিশ্বাস করি না’।
রত্নার সঙ্গে নিজের বিয়ের বিষয়েও কথা বলেন শোভন। দাবি করেন, ২০০৪-০৫ সাল থেকে তাঁর কোনও বৈবাহিক জীবন নেই। ‘আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল এই বিবাহিত জীবনে ঢোকা’, মন্তব্য করেন তিনি। একইসঙ্গে বলেন, ‘আমায় বংশের কুলাঙ্গার বলেছেন। আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে বলেছেন মেরে আমার গাল ফাটিয়ে দেবেন। আমার বাড়ি বৈশাখীকে দিয়েছি। সেখানে বসেই এসব বলবে, আমি চুপ করে থাকব?’
আরও পড়ুনঃ অভিযোগ এলেই কড়া অ্যাকশন! মমতা সরব হতেই বিরাট বার্তা নবান্নর
শোভন বলেন, বৈশাখী কোথাও গেলে তিনি সেখানে যান। একইরকমভাবে তিনি কোথাও গেলে বৈশাখী সেখানে উপস্থিত হন। তাঁরা পালিয়ে বেড়ান না। কিন্তু রত্না লুকিয়ে নানান জায়গায় যান বলে অভিযোগ করেন তিনি। ‘কীসের জন্য উনি হায়দ্রাবাদ, ব্যাংকক সহ নানান জায়গায় লুকিয়ে বেড়ান?’ প্রশ্ন করেন শোভন।
বিয়ের অস্তিত্ব নিয়েও এদিন কথা বলেন শোভন (Sovan Chatterjee)। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বলেন, ‘৮ বছর মুখ দেখিনি। বিয়ের অস্তিত্ব কোথায়? শুধু আইনি প্রক্রিয়া চলছে। সেটা ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। একটার পর একটা মিথ্যে বলছেন। ইচ্ছাকৃতভাবে ২৬টা শুনানির দিন পিছিয়েছেন। আমি প্রত্যেকবার থেকেছি’।