বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মী (Government Employees) এবং রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে টানাপড়েন চলছে। বর্তমানে তাঁরা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অধীন ১৪% হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন। সদ্য পেশ হওয়া রাজ্য বাজেটে ৪% হারে ডিএ (Dearness Allowance) বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে ১৮% হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে। যদিও তাতে সন্তুষ্ট নন অনেকে। এই আবহে জারি করা হল একটি বিজ্ঞপ্তি।
সুখবর পেলেন ‘এই’ রাজ্য সরকারি কর্মীরা (Government Employees)!
সম্প্রতি ৪% হারে ডিএ বাড়ানো হলেও তা নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের মনে। এই আবহে সম্প্রতি রাজ্যের সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। টার্মিনাল বেনিফিট তথা অবসরের সময় এককালীন অনুদান সম্বন্ধে এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের (Government Employees) টার্মিনাল বেনিফিটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই মর্মেই এই নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে খবর। সেখানে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নানান চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের টার্মিনাল বেনিফিট ২ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে সোজা ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ অবসরের সময়কার এককালীন অনুদানের অঙ্কটা এবার একধাক্কায় ৩ লক্ষ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার তৃণমূলেরই কর্মী! বীরভূমে যা হল… জোর শোরগোল!
রাজ্যের সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের (Contractual Employees) বয়স ৬০ কিংবা ৬৫ বছর হওয়ার পর এই টার্মিনাল বেনিফিট পাওয়া যায়। এখন প্রশ্ন হল, অবসরের সময় এককালীন অনুদান কারা পাবেন? সেটাও জানিয়েছে সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর।
উচ্চমাধ্যমিক স্তরের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক, এমএসকে ও এসএসকে শিক্ষক, প্যারাটিচার, অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার, সাম্মানিক স্বাস্থ্যকর্মী, আশাকর্মী, সিভিক ভলেন্টিয়ার, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি সহায়ক, হোমগার্ড ভলেন্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ ভলেন্টিয়ার, অক্সিলিয়ারি ফায়ার অপারেটরা অবসর গ্রহণের সময় এই এককালীন অনুদান পাবেন।
এদিকে রাজ্য সরকারের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের (Government Employees) টার্মিনাল বেনিফিটের সংক্রান্ত এই বিজ্ঞপ্তি জারির পর তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী। রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এই বিষয়ে বলেন, শিক্ষিত বেকারদের নিজের হাতে কাজ করে খাওয়ার জন্য সম্মানজনক বেতনের ভিত্তিতে নয়া নিয়োগ চাই। এটা অনুদানের চেয়ে বেশি জরুরি।