বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১৪৪ বছর পর মহাকুম্ভ (Mahakumbh) চলছে। দেশের নানান প্রান্ত থেকে সেখানে ছুটে গিয়েছেন অগুনতি মানুষ। আমজনতার পাশাপাশি একাধিক তারকাকেও পুণ্যস্নান করতে দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি সেখানে গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mullick) এবং তাঁর স্ত্রী তথা অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ (Sreemoyee Chattoraj)। এরপরেই সেখানকার ‘অব্যবস্থা’ নিয়ে সরব হন বিধায়ক-পত্নী।
শ্রীময়ী (Sreemoyee Chattoraj) মুখ খুলতেই পাল্টা আক্রমণ বিজেপির!
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্রীময়ী বলেন, ইন্টারনেটে তারকাদের স্নানের ছবি দেখে কেউ ঝকঝকে ব্যবস্থা আছে ভেবে এখানে এলে সেই আশাভঙ্গ হবে। তিনি বলেন, ‘হুজুগে এসে দেখলাম একেবারে ফেঁসে গিয়েছি। কাঞ্চন তো আসতে চায়নি। সব গঙ্গাই ওর কাছে এক। আমি জোর করলাম বলেই এসেছে। ত্রিবেণী সঙ্গমে ভিআইপি জোনেই স্নান করেছি। শান্তিতে শুধু স্নানটাই করতে পেরেছি। পোশাক বদলানোর জন্য জায়গা পেয়েছি। কিন্তু তাছাড়া বাকি অবস্থা খুবই খারাপ। তবে সঙ্গমের পরিবেশ খুব সুন্দর’।
শ্রীময়ী (Sreemoyee Chattoraj) জানান, সেখানে মহিলাদের জন্য কোনও শৌচালয়ের বন্দোবস্ত নেই। অনেকে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন বলেও দাবি করেন তিনি। এমনকি প্রাথমিক চিকিৎসারও ব্যবস্থা নেই বলে জানান কাঞ্চন-পত্নী। মারাত্মক যানজট, পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই বলে দাবি করেন তিনি। ‘এটা পুরোপুরি প্রশাসনের ব্যর্থতা’, মন্তব্য শ্রীময়ীর।
আরও পড়ুনঃ কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র! বাড়ি বসেই চেক করুন এল কিনা
এদিকে উত্তরপাড়ার তৃণমূল (TMC) বিধায়কের স্ত্রী মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনা নিয়ে এহেন দাবি করতেই পাল্টা সরব হন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। শ্রীময়ীর এই বক্তব্যের স্ক্রিনশট নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) তুলে ধরে তিনি লেখেন, ‘কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টরাজ, নিজেরা গিয়েছিলেন। স্নান করেছেন। হাসিমুখে ছবি তুলেছেন, আর এখন প্রহসন করছেন!’
তরুণজ্যোতি (Tarunjyoti Tewari) প্রশ্ন করেন, কাঞ্চন-শ্রীময়ীকে মহাকুম্ভে যেতে কে বলেছিলেন? তাঁরা নিজেদের ইচ্ছায় গিয়েছেন। স্নান করেছেন, হাসিমুখে সেখানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন। আর এখন আচমকা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন! বিষয়টিকে ‘রাজনৈতিক নাটক’ বলে তোপ দাগেন পদ্ম নেতা।
তরুণজ্যোতি লেখেন, ‘শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাগ থেকে বাঁচার জন্য যে এটা একটা রাজনৈতিক নাটক, সেটা সহজেই বোঝা যায়। প্রয়াগরাজ কুম্ভমেলায় কয়েক হাজার শৌচালয় স্থাপন করা হয়েছে। নিয়মিত সেগুলি পরিষ্কার করার জন্য বিশাল কর্মী বাহিনী আছে। সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে প্রশাসন কাজ করছে’।
বিজেপি (BJP) নেতা দাবি করেন, প্রয়াগরাজের মতো ছোট একটি শহরে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার প্রায় ৬ গুণ মানুষ স্নান করে ফেলেছেন। তা সত্ত্বেও সেখানকার ব্যবস্থাপনা প্রশংসিত হয়েছে। হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নেত্রী সুজাতা মণ্ডলের গলাতেও সেই রাজ্যের প্রশাসনের ব্যবস্থাপনার প্রশংসা শোনা গিয়েছে।
পাল্টা পশ্চিমবঙ্গের সরকারি বিদ্যালয়ের শৌচালয় ও সুলভ শৌচালয়ের ‘শোচনীয়’ দশা নিয়ে তোপ দাগেন তরুণজ্যোতি। কাঞ্চন ও শ্রীময়ীকে (Sreemoyee Chattoraj) উদ্দেশ্য করে বিজেপি নেতা লেখেন, ‘আপনাদের নাটক সবাই বুঝতে পারছে’।