বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যে কোনও ছাত্রছাত্রীর জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা হিসেবে গণ্য করা হয় মাধ্যমিককে (Madhyamik Exam)। গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল চলতি বছরের পরীক্ষা। সম্পন্ন হয়েছে ২২ ফেব্রুয়ারি। এরপরেই মাধ্যমিক (Madhyamik) নিয়ে সামনে আসছে বড় খবর! জানা যাচ্ছে, ২০ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBBSE)।
মাধ্যমিক (Madhyamik Exam) নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত পর্ষদের!
মাধ্যমিক পরীক্ষা যাতে ত্রুটিহীনভাবে হয়, সেই কারণে প্রত্যেক বছর একাধিক সিদ্ধান্ত নেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। চলতি বছরও এর অন্যথা হয়নি। এবারও পরীক্ষা শুরুর আগে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। স্পষ্ট বলা হয়েছিল, পরীক্ষা চলাকালীন কোনও পরীক্ষার্থীর থেকে মোবাইল ফোন কিংবা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক গ্যাজেট পাওয়া গেলে সেটা বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
এবার মোবাইল ফোন নিয়ে আসার কারণেই নানান জেলার মোট ২০ জন মাধ্যমিক (Madhyamik Exam) পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করল পর্ষদ। জানানো হয়েছে, এই বছরের মতো ওই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বছর ঘুরলেই জোড়া ভোট! সেদিকে নজর রেখেই KMC-র বাজেট? বড় মন্তব্য মেয়র ফিরহাদের
একটি সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যের নানান জেলা থেকে মোট ২০ জন মাধ্যমিক (Madhyamik Pariksha) পরীক্ষার্থীর এই বছরের মতো পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। সেই জেলাগুলির তালিকায় নাম রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, বাঁকুড়ার। শেষ পরীক্ষার দিনও ৩ জনকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি বলে খবর।
এই বিষয়ে রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় (Ramanuj Gangopadhyay) বলেন, ‘পর্ষদের তরফ থেকে আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়, নির্দিষ্ট একজন কিংবা দু’জন বাদে বাকি সবাইকে নিজেদের মোবাইল ফোন কিংবা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস ভেন্যুর প্রবেশপথে জমা করতে হবে। কোনও ছাত্রের থেকে মোবাইল ফোন কিংবা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস পাওয়া গেলে তার পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হবে, সেটাও জানানো হয়েছিল’।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এবারের মাধ্যমিকে (Madhyamik Exam) ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে ছাত্রীদের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৫০ জন। অন্যদিকে ছাত্রসংখ্যা ৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৮০৩ জন। তাঁদের মধ্যেই ২০ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা এই বছরের মতো বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।