বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই সেই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট। এই আবহে এবার এক তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রীর বিরুদ্ধে উঠল গুরুতর অভিযোগ। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ!
কয়েকদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেন, দলের কেউ যদি অন্যায় করেন, তাহলে তার দায় দল নেবে না। একইসঙ্গে জানানো হয়, কেউ অন্যায় করলে তাঁকে সাজা পেতেই হবে। দলনেত্রীর এহেন হুঁশিয়ারির পরেও তৃণমূলের কিছু নেতা-নেত্রী যে সতর্ক হননি, তা দুর্গাপুরের এই ঘটনা থেকেই পরিষ্কার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অন্ডাল ব্লকের মদনপুর গ্রাম নিবাসী মধুমিতা মুখোপাধ্যায় আইসিডিএসে চাকরির আর্জি জানিয়ে অন্ডাল ব্লক সভানেত্রী সুজাতা বসু সরকারের সঙ্গে কথা বলেন। অভিযোগ, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি মধুমিতার থেকে টাকা চান তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী। সেই অনুযায়ী টাকা দেওয়া হলেও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চাকরি মেলেনি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ সাইকেল অতীত! স্কুল ছাত্রীদের এবার বিনামূল্যে স্কুটি দেবে রাজ্য সরকার! কারা পাবেন ঝটপট জানুন
এদিকে চাকরি না পেয়ে তৃণমূল নেত্রীর থেকে টাকা ফেরত চান মধুমিতা। এরপর সুজাতা তাঁকে ৫০,০০০ টাকা ফিরিয়ে দেন। তবে বাকি টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন বলে খবর। ইতিমধ্যেই টাকা দেওয়া-নেওয়া সংক্রান্ত কয়েকটি অডিও ক্লিপিং সামনে এসেছে। সেখানে মধুমিতা ও সংশ্লিষ্ট তৃণমূল নেত্রীর কথোপকথন শোনা যাচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট।
জানা যাচ্ছে, ৫০,০০০ টাকা ফেরত দেওয়ার পর সুজাতা বাকি টাকা দিতে অস্বীকার করলে মধুমিতার স্বামী পঞ্চানন মুখোপাধ্যায় সোজা তৃণমূল কংগ্রেসের উখড়া অঞ্চল সভাপতি শরণ সায়গলের কাছে তৃণমূল নেত্রীর নামে লিখিত অভিযোগ করেন। এই বিষয়ে শরণ বলেন, ‘এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়ে দলের ব্লক সভাপতি এবং জেলা সভাপতিকে জানাব’।
অভিযুক্ত তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী সুজাতা অবশ্য টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি এই বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তী বলেন, তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।