বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পানাগড়ে ইভটিজারদের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক নৃত্যশিল্পীর। এই ঘটনায় এবার ফুঁসে উঠলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। পুলিশ, পুলিশের কাজ করলেও তিনি মনে করেন অভিযুক্তদের রাস্তায় বের করে এনে এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এই অপরাধ করার সাহস না পায়।
পানাগড় কাণ্ডে বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)
সোমবার পানাগড়কাণ্ডে নৃত্যশিল্পীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) স্পষ্ট বললেন,’পুলিশ পুলিশের কাজ করবে।আইনশৃঙ্খলার কোনও যোগ নেই এরসঙ্গে। এইসব দুর্যোধন-দুঃশাসনদের জামাকাপড় খুলিয়ে রাস্তায় বের করা উচিত।’ একইসাথে এদিন তিনি বলেছেন, রাস্তায় পুলিশ থাকতেও, এবং মোড়ে মোড়ে ট্রাফিকিং করার পরেও কিছু মানুষ এই ধরনের অপরাধ করছে। তবে তাঁর দাবি বাম আমলেও এই ধরণের ঘটনা হত। তবে এখন অনেক কম হয়। শেষে কুণালের কড়া হুঁশিয়ারি, ‘আমাদের দেখতে হবে যাতে কেউ আর এই ধরণের কাজ করার সাহস দেখাতে না পারে।’
ঠিক কি ঘটেছিল?
জানা যাচ্ছে,রবিবার রাতে চন্দননগর থেকে একটি গাড়িতে চেপেছিলেন প্রয়াত নৃত্যশিল্পী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও পাঁচজন। বিহারের গয়ার দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। মাঝরাতে জ্বালানি তেল ভরানোর জন্য পশ্চিম বর্ধমানের বুদবুদের ১৯ নং জাতীয় সড়কের পাশে একটি পেট্রল পাম্পে গাড়ি দাঁড় করিয়েছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: রত্নার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে মামলা করতে চাইলেন কল্যাণ! ভরা এজলাসে তুলকালাম কাণ্ড
তেল ভরার পর গাড়িটি আবার জাতীয় সড়ক ধরে পানাগড়ের দিকে এগোতে থাকে। জানা যাচ্ছে, ওই সময়েই একটি সাদা রঙের চারচাকা গাড়ি সুতন্দ্রাদের গাড়ির পিছু নিয়েছিল। গাড়ি ধাওয়া করার পাশাপাশি অশ্রাব্য ভাষায় সুতন্দ্রার উদ্দেশ্যে খারাপ কথাবার্তা বলতে থাকে কয়েকজন যুবক। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্তদের ওই গাড়িতে ছিল প্রায় ৫ জন যুবক। এরপর গাড়িটি সজোরে ধাক্কা মারে তরুণীর গাড়ির পাশেই। এরপরেই সুতন্দ্রাদের গাড়িটি উঠে যায় ডিভাইডারে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এরপর থানায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সুতন্দ্রা। ঠিক তখনই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। সুতন্দ্রাদের গাড়ি থানার দিকে এগোতেই আবার সজোরে ধাক্কা দেওয়া হয় তাঁদের গাড়িতে। তখনই গাড়িটি উলটে যায়। পুলিশ গিয়ে সুতন্দ্রাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পানাগড়ের এই মর্মান্তিক ঘটনা আরও একবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছে রাজ্যের নারী নিরাপত্তার বিষয়ে।