বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এখনও বহু ক্ষেত্রে বঞ্চিত নারীরা। শিক্ষা থেকে কর্মক্ষেত্র, প্রতি পদে নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে লড়াই চালাচ্ছেন মহিলারা। আবার অনেক সময়ে পারিবারিক চাপে অনেক মেয়েই নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য থেকে বাধ্য হন পিছিয়ে আসতে। তবে এখনও এমন অনেক পরিবার রয়েছে যারা নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে পাঁচ জনের মধ্যে সফল (Success Story) একজন করে তুলতে চান ঘরের কন্যাকে।
তাইবা আফরোজের সাফল্যের কাহিনি (Success Story)
বিহারের সারান জেলার তাইবা আফরোজের গল্পও অনেকটা সেরকমই। তাইবা আফরোজের (Taiba Afroz) বাবার রয়েছে একটি ছোট্ট রেশন দোকান। ছোটবেলা থেকে গ্রামের পরিবেশে মানুষ তাইবা চাইতেন আকাশে উড়তে। পাইলট হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বড় হয়ে ওঠা তাইবা আফরোজের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তার বাবা।
আরোও পড়ুন : রাত পোহালেই ঘোষণা হবে, রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি! এগিয়ে কোন মহিলা নেত্রী?
মেয়ের পড়াশোনার জন্য বিক্রি করে দিয়েছিলেন জমি। সেই মেয়েই আজ সফল (Success Story) পাইলট (Pilot) হয়ে গর্বিত করেছেন গোটা পরিবারকে। বিহারের (Bihar) একটি ছোট্ট গ্রাম জালালপুরের বাসিন্দা তাইবা। গ্রামের স্কুলেই পড়াশোনা তার। ছোটবেলা থেকে দুচোখে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন।
আরোও পড়ুন : অবশেষে অপেক্ষার অবসান! শিয়ালদাতে কবে থেকে চলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস? মিলল বিরাট আপডেট
অতি সাধারণ গ্রামের একটি পরিবারের মেয়ের পক্ষে সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত করা খুব একটা সহজ কাজ ছিল না। তবে তাইবা নিজের এই স্বপ্ন পূরণের পথে পাশে পেয়েছিলেন পরিবার সহ আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের। বর্তমানে তাইবা ডিডিসিএ লাইসেন্স প্রাপ্ত সারানের প্রথম মহিলা বাণিজ্যিক পাইলট।
একটি সংবাদমাধ্যমে তাইবা জানান, বিমান চালানোর ক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য মেয়েদের দরকার অসীম সাহস। মেয়েরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞা হতে পারলেই সমস্ত বাধা-বিপত্তি দূর করে এগিয়ে যেতে পারবে নিজের লক্ষ্যে। বর্তমানে গ্রামের বহু সাধারণ পরিবারের মেয়েদের কাছে তাইবা হয়ে উঠেছেন আদর্শ। পাশাপাশি তাইবার বাবা-মায়ের ত্যাগ ও একনিষ্ঠ সহায়তা উৎসাহ প্রদান করছে দেশের অসংখ্য পরিবারকে।