বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দু’বছরের পেরিয়েছে। তারও বেশি সময় ধরে সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রয়েছে বাংলার সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ) মামলা (Dearness Allowance)। এখনও ঝুলেই রয়েছে। মোট ১৪ বার ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়েছে সুপ্রিম করতে। এই আবহে অপেক্ষা করতে করতে হাপিয়ে গেছেন আন্দোলনকারীরা। (DA Case of West Bengal)
DA মামলার শুনানি কবে? Dearness Allowance
সুপ্রিম কোর্টে যে ডিএ মামলার শুনানি চলছে তা পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া ডিএ মামলা। বর্তমানে ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় ১৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। যদিও সম্প্রতি ৪% হারে ডিএ বৃদ্ধি করেছে রাজ্য। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৫৩% হারে ডিএ পাচ্ছেন। অর্থাৎ কেন্দ্র-রাজ্য ব্যাবধান দাঁড়িয়েছে ৩৫ শতাংশ।
২০২২ সালের ২০ মে ডিএ মামলা হাইকোর্টে উঠলে আদালতের নির্দেশ ছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে সেবার জয় পেয়েও মেলেনি বকেয়া। উচ্চ আদালতের ডিএ (Dearness Allowance) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়।
এরই মাঝে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেই ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা চলছে। বর্তমানে ২০২৪ সাল। হাইকোর্টে ডিএ মামলাকারীরা জয় পেয়েছিল।
গত ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। এরপরই রাজ্য সরকার স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করে। সেই প্রেক্ষিতেই মামলা শুরু হয়। তারপর থেকে আরও একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা আদালতে উঠলেও বারে বারে শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। এই আবহে বিরোধীরা রাজ্য সরকারকে ক্রমশ চাপ দিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: শোভনের মামলা লড়ায় জুটল অসম্মান! রত্নার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা কল্যাণের
শেষবার ২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি ডিএ মামলা (Dearness Allowance) শুনানির জন্য ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। সেদিন সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আইনজীবীদের ‘কথা শোনার সময় আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আর্জি মতো ২০২৫ সালের ২৫ মার্চ মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।’ এবার এই দিনে ডিএ মামলার শুনানি আদেও হবে কিনা সেটাই দেখার।