বাংলাহান্ট ডেস্ক : পাকিস্তানের (Pakistan) মাটিতে সম্প্রতি এমন এক বিমানবন্দর তৈরি হয়েছে যা দেখলে চমকে উঠতে হয়। তবে অত্যাধুনিক কারুকাজ, সুসজ্জিত চত্বর, আধুনিকতায় মোড়া এই বিমানবন্দরের চারদিক যেন খাঁ খাঁ করছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের গ্বদরে বিমানবন্দর তৈরিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢেলেছে চিন।
পাকিস্তানের (Pakistan) নয়া বিমানবন্দরের বর্তমান দশা
তবে সবথেকে আশ্চর্যের কথা পাকিস্তানের (Pakistan) কোনও সাধারণ নাগরিক ব্যবহারই করতে পারেন না এই বিমানবন্দর। আরব সাগরের পার্শ্ববর্তী গ্বদর শহরে ২৪০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে চিন তৈরি করেছে অত্যাধুনিক এই বিমানবন্দর। সংবাদ সংস্থা এপি-র সূত্র বলছে, আজ পর্যন্ত গ্বদরের এটিই পাকিস্তানের সবথেকে ব্যয়বহুল বিমানবন্দর।
আরোও পড়ুন : লম্বা ছুটি! টানা ৪০ দিন বন্ধ থাকবে স্কুল, কীসের জন্য? ফের কবে খুলবে?
গত বছর অক্টোবর মাসে পাকিস্তানের (Pakistan) মাটিতে এই বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ শেষ করে চিন (China)। বিশালাকার এই আধুনিক বিমানবন্দরে যাতায়াত করতে পারেন প্রায় ৪০ হাজার জন যাত্রী। তবে এই বিমানবন্দরের (Gwadar Airport) সাথে কোনও সম্পর্ক নেই শহরে বসবাসকারী ৯০ হাজার মানুষের।
আরোও পড়ুন : শেখ হাসিনার ম্যাজিক! বদলের বাংলাদেশে বাজিমাত আওয়ামী লীগের, বিরাট চাপে ইউনূস
এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ আজিম খালিদ মনে করছেন, ‘এই বিশেষ বিমানবন্দরটি চিন তৈরি করেছে গ্বদর ও বালুচিস্তানে নিজেদের লোকের কাছে নিরাপদে পৌঁছনোর জন্য। এটা পাকিস্তান বা গ্বদরের জন্য তৈরি করা হয়নি। বলা ভালো, বিমানবন্দরটি চিনের নিজের জন্য তৈরি করা।’
সূত্রের খবর, পাকিস্তানের এই অত্যাধুনিক বিমানবন্দরে এখনও নেই পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা। এমনকি পাকিস্তানের ইলেক্ট্রিসিটি গ্রিডের সাথেও সংযোগ নেই গ্বদরের এই বিমানবন্দরের। চিন এই বিমানবন্দরের ইলেকট্রিসিটির ব্যবস্থা করেছে প্রতিবেশী দেশ ইরান থেকে। অতিরিক্ত বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য বসানো হয়েছে সোলার প্যানেল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্বদর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করা হয়েছে মূলত চায়না পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর বা সিপিইসির উদ্দেশ্যেই। এই বিমানবন্দরের মাধ্যমে চিনের পশ্চিম শিনঝিয়াং প্রদেশকে সংযুক্ত করা হবে আরব সাগরের সাথে। যদিও বাণিজ্যিকভাবে এই বিমানবন্দর কবে চালু হবে সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।