বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের (India) নাগরিকদের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে ক্রয় ক্ষমতা। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেতনও। তবে এই আবহে অধিকাংশ ভারতের (India) নাগরিকদের মধ্যেই নেই অর্থনৈতিক সচেতনতা। অন্তত সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষার ফল তেমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিপুল পরিমাণ ভারতীয় দুহাতে রোজগার করলেও মাস শেষ হওয়ার আগেই খরচ করে ফেলছেন বেতনের সিংহভাগ অর্থ।
ভারতের (India) নাগরিকদের আর্থিক অবস্থা
যার ফলে একদিকে যেমন বাড়ছে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, তারই সাথে বাড়ছে দেনার দায়। সম্প্রতি ইউগভের সঙ্গে যৌথভাবে একটি সমীক্ষা চালায় এডলোয়েসেস লাইফ। সমীক্ষার ফলাফল শুনলে আঁতকে উঠতে পারেন আপনিও। দেশের ১২ টি শহরে যৌথ এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে ৩৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সী ৪ হাজারের বেশি মানুষের উপর।
আরোও পড়ুন : চাপে পড়ে বাতিল বিধায়ক বিবেক গুপ্তার MLA কাপ? পুলিশের অনুমতিতে বড়বাজারে হল বসে আঁকো প্রতিযোগীতা
এই সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, পরিকল্পনা ছাড়াই এই মানুষেরা জীবন অতিবাহিত করছেন। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই মানুষগুলির উপর রয়েছে বাবা-মা ও সন্তানের দায়িত্ব। যাদের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল তারা বলছেন, ভবিষ্যতের জন্য যে পরিমাণ অর্থ তারা সঞ্চয় করেন তা একেবারেই পর্যাপ্ত নয়।
আরোও পড়ুন : হোলি উপলক্ষ্যে যাত্রীদের বিশেষ উপহার রেলের! এবার সফর করুন নিশ্চিন্তে
যৌথ এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বাবা-মা ও সন্তানের দায়িত্ব থাকায় ৫০ শতাংশ মানুষ অর্থ সঞ্চয় করতে পারছেন না। এদের জীবন চলছে ক্রেডিট কার্ডের (Credit Card) উপর ভরসা করেই। তাই আয়ের একটা বড় অংশ হয়ে চলে যাচ্ছে ধার (Loan) পরিশোধ করতে। আবার সমীক্ষার ফলে দেখা গেছে, অনেকেই জর্জরিত হয়ে রয়েছেন স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ঋণে।
শুধু তাই নয়, অনেকেই ঘুরতে যাওয়া বা বাড়ির মেরামতির জন্য নিয়ে রেখেছেন মোটা অংকের ঋণ। এডলোয়েসেস লাইফের এমডি ও সিইও সুমিত রাই এই প্রজন্মকে তুলনা করেছেন ‘স্যান্ডউইচের’ সাথে। তাঁর কথায়, “এই জেনারেশন একদিকে বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তানের দায়িত্ব নিয়েছেন, যত্ন নিচ্ছেন। আর এইভাবে তাঁরা একটি লুপের মধ্যে পড়ে গিয়েছেন।”
‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যের পর তীব্র কটাক্ষ! এবার মমতার সন্দেহ ‘১৪৪ বছর’ পর মহাকুম্ভ নিয়ে