বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মারণ ভাইরাস করোনার হাত থেকে বাঁচতে কোভিড ভ্যাকসিন নিয়েছেন দেশবাসী। তবে এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও মৃত্যুও হয়েছে অনেকের। এবার তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে বিরাট পরামর্শ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court)। করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, এবার তাঁদের পরিবারকে অর্থ সাহায্য দেওয়ার বিষয়ে মুখ খুলল সুপ্রিম কোর্ট।
করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে যা বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)
মঙ্গলবার মৌখিকভাবে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) কেন্দ্রকে জানিয়েছে, মৃতদের পরিবারকে কোনওভাবে সাহায্য করা যায় কিনা, কিংবা এই বিষয়ে নতুন কোনও নীতি প্রণয়ন করা যায় কিনা সে ব্যাপারে ভেবে দেখা যেতে পারে। উল্লেখ্য, কোভিশিল্ড নেওয়ার পর মৃত্যু হয়েছিল অনেকের। মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। যদিও ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে দায়ের হওয়া ওই মামলা খারিজ করে দিয়েছিল আদালত।
জানা যাচ্ছে, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে এমন কোনো নীতি নেই যার সাহায্যে কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে মৃতদের পরিবারকে সাহায্য করার যায়। তবে সাহায্য করা উচিত, এই মর্মে মামলা দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে (Supreme Court)। এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং সন্দীপ মেহতার এজলাসে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ সেখানেই মৌখিকভাবে কেন্দ্রকে পরামর্শ দেয়, ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করার নীতি তৈরি করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখা দরকার।
আরও পড়ুন: ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যের পর তীব্র কটাক্ষ! এবার মমতার সন্দেহ ‘১৪৪ বছর’ পর মহাকুম্ভ নিয়ে
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে কেরল হাই কোর্টে এই মর্মে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের আবেদনের ভিত্তিতে উচ্চ আদালতের সেই কার্যকলাপে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রসঙ্গত, করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মৃত্যুর অভিযোগ উঠলে সেসময় কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রোজেনেকা স্বীকার করে নিয়েছিল, তাঁদের টিকা যাঁরা নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে থ্রম্বোসিস বা রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
অন্যদিকে অসম মেডিক্যাল কলেজের তরফেও জানানো হয়েছিল, কোভিশিল্ড প্রাপকদের ৫৫ শতংশই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার স্বীকার হয়েছেন। উলেখ করা হয় ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অনেকেই জ্বর, মাথা যন্ত্রণার মতো অসুখে ভুগেছেন। বলা হয় ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই এই ধরণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা ICMR রিপোর্ট পেশ করে, করোনা ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিলেন ভ্যাকসিনের জেরে নাকি করোনার ঝুঁকি কমেছে।