বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কাউন্সিলের পদে থেকেও বৈভব ও ব্যক্তিগত জীবনচর্চায় রীতিমতো তাক লাগিয়ে দেন কলকাতা পৌরসভার (Kolkata Municipal Corporation) কাউন্সিলরদের একাংশ। কারও নামে বা বেনামে ঝাঁচকচকে রেস্তোরাঁ চলে, তো কেউ আবার অ্যাস্টন মার্টিন গাড়িতে চাপেন। কারও বাড়ি আবার ‘হাতিবাড়ি’ নামেও বিখ্যাত। কিন্তু অবাক করবে তাঁদের বেতনের অংক। বছরের পর সেই টাকার কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় এবার সরব হলেন কাউন্সিলররা।
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সরব কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) কাউন্সিলাররা
ভাতা বা সাম্মানিক বাড়ানোর দাবি জানিয়ে এবার পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) বাজেট অধিবেশনে সমবেতভাবে সরব হলেন কাউন্সিলররা। জানা যাচ্ছে, সোমবার ১৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান রত্না শূর জানিয়েছেন, অনেক কাউন্সিলরদের নিজস্ব ওয়ার্ড অফিস নেই। একই সাথে খরচের প্রসঙ্গে টেনে তিনি দাবী করেছেন দিনের পর দিন যেভাবে খরচ বাড়ছে তাতে এবার একটা বিহিত করতে হবে। বিদ্যুৎ খরচও বাড়ছে হু হু করে। তাই এই পরিস্থিতিতে মাত্র দশ হাজার টাকায় কিছু হয় না বলেই তিনি জানিয়েছেন। একইসাথে তিনি দাবি করেছেন মাসিক অন্তত ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হোক।
ক্ষমতাসীন ও বিরোধী শিবিরের কাউন্সিলররা টেবিল চাপড়ে তাঁর এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন। বিজেপি কাউন্সিলর মিনাদেবী পুরোহিত এই ভাতা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত বছর কয়েক আগে মেয়র ফিরহাদ হাকিম কাউন্সিলরের ভাতা বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন। তারপর আর ভাতা বাড়েনি।
আরও পড়ুন: মেগা বৈঠকে এক মঞ্চে মমতা-অভিষেক! কি ঘটতে চলেছে আগামিকাল?
বাজেট অধিশেনে এদিন আবার সেই ভাতা বাড়ানোর দাবি উঠলো। আরও একধাপ এগিয়ে বাম কাউন্সিলার মধুছন্দা দেব কাউন্সিলারদের পেনশন চালুর দাবি তুলে বললেন, ‘রত্নাদেবীর বক্তব্যকে সমর্থন জানাচ্ছি। ভাতা বাড়লে তো হলে খুব ভালো হয়। তবে আমাদের তো বয়সও হয়েছে। অনেকেই হয়তো ভবিষ্যতে কাউন্সিলর থাকবেন না। তাই পেনশন চালু করা হলে ভালো হয়।’
প্রসঙ্গত ভাতা ছাড়াও আরও সামান্য কিছু আর্থিক সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন পুরসভার কাউন্সিলররা। ২০০৫ সালে কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) কাউন্সিলরদের ভাতা ছিল ১৫০০ টাকা। ৫ বছর পর ২০১০ সালে যা বেড়ে হয় ৫০০০ টাকা। আর তার ৮ বছর পর ২০১৮ সালে শেষবারের মতো টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছিল ১০০০০। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত কাউন্সিলরদের বেতন বাড়েনি।