বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাসিনা সরকারের পতনের সময় যে আন্দোলন হয়েছিল, সে বিপ্লবের সামনের সারিতে ছিল ছাত্রসমাজ। তাই নতুনভাবে ছাত্র ও তরুণদের নেতৃত্বের জন্যেই যে আজকের বাংলাদেশ (Bangladesh) তৈরি হয়েছে, তার বলাই বাহুল্য। ফলে, বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দলের যে আত্মপ্রকাশ ঘটবে সেই বিষয় নিয়ে গুঞ্জন আগেই শুরু হয়েছিল।
বাংলাদেশের (Bangladesh) নতুন পার্টির নাম
তবে, কোনদিন ছাত্র ও তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল সামনে আসবে সেই বিষয়ে নানা চর্চা চলছিল। প্রথমে ২৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবারের কথা উঠে এলেও পরে অবশ্য বলা হয় নতুন দলের (Political Party) ঘোষণা করা হবে আগামী শুক্রবার – অর্থাৎ – ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫। কিন্তু, শেষপর্যন্ত সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবারই সেই প্রক্রিয়া সেরে ফেলা হল।
আরোও পড়ুন : কাঁটায় কাঁটায় টক্কর জি বাংলা-স্টার জলসার, একসঙ্গে নতুন “ধামাকা” দুই চ্যানেলে! ঝড় উঠবে TRP-তে
সূত্রের খবর, নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা থেকে শুরু করে নেতৃত্বের বিভিন্ন আলোচনাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তাল হয়ে উঠল বাংলাদেশ (Bangladesh)। দফায় দফায় দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধল। তাই সব মিলিয়ে বলা যায়, সূচনা পর্বের মুহূর্ত থেকেই বিতর্কে জড়াল বাংলাদেশের এই নয়া রাজনৈতিক দল। এই রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের নাম দেওয়া হয়েছে – ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’।
আরোও পড়ুন : স্বামী-স্ত্রী দুই প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যানেলের নায়ক-নায়িকা, ৪ বছর পেরিয়ে ভাঙছে লোক দেখানো “চুক্তির বিয়ে”!
জানা গিয়েছে, এই নয়া রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হচ্ছেন আবু বাকের মজুমদার ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব পদে রাখা হয়েছে জাহিদ আহসানকে। বুধবার দুপুরের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে নতুন দলের নাম ঘোষণা ও নেতৃত্বের পরিচয় তুলে ধরা হয়। সেই সময়েই স্লোগান, পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
বঞ্চনার অভিযোগ থেকে শুরু করে প্রকাশ্যেই অবস্থান বিক্ষোভ, এমনকি দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও সামনে আসে। একদিকে যেমন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সেখানে পৌঁছন, অন্যদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল পড়ুয়া সেখানে পালটা জমায়েত করেন। নতুন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাননি বলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল পড়ুয়া দাবি করেন।
এরপর নতুন দলের নেতৃত্ব ও তাদের সমর্থকরা মল চত্বরের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় সেখানেও ফের একবার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি হয়। এই সংঘর্ষের জেরে বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। কার্যত সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সংঘর্ষের (Clash) রেশ চলে। সন্ধে নাগাদ ফের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও সংঘর্ষ হয়।