বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দু’জনে একই দলের অংশ। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। অন্যদিকে রত্না চট্টোপাধ্যায় (Ratna Chatterjee) বেহাল পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক। যদিও শোভন-রত্নার ডিভোর্স মামলায় শোভনের হয়ে সওয়াল করছেন সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ। সম্প্রতি তিনিই রত্নার বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেরও (Calcutta High Court) দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শোভনের আইনজীবী। এবার তার প্রেক্ষিতেই বড় নির্দেশ দিয়ে দিল উচ্চ আদালত।
কী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
জানা যাচ্ছে, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভনের আইনজীবী জয়দীপ কর রত্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, ‘উনি একটি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘আমি তো কল্যাণদার কথাতেই শোভনকে ডিভোর্স দিচ্ছি না। হাইকোর্টে এক ঘণ্টা ধরে কত পরামর্শ দিয়েছেন। ডিভোর্স দিবি না, লড়াই কর, আমি তো পাশে আছি’। এই প্রকারের মন্তব্য আদালতে অবমাননা। রত্না আরও বলেছেন, ‘কল্যাণ পাল্টি খাচ্ছেন, পাল্টি খেয়ে গেলেন…’। এই প্রকারের মন্তব্য কি ঠিক? এটা কোনও সমালোচনা নয়, ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে’।
এরপর রত্নার আইনজীবীকে বিচারপতি বলেন, ‘অযথা এই প্রকারের সমস্যা সৃষ্টি করেছেন’। পাল্টা রত্নার আইনজীবী কল্যাণের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, ‘আমার মক্কেলের বাবা ‘কালারফুল’। এই ধরণের মন্তব্য করেছেন। কোনও হুমকি দেওয়া হলে, অভিযোগ করা হোক’।
আরও পড়ুনঃ নতুন বিচারপতি পাবে কলকাতা হাইকোর্ট? ‘এই’ ৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করল কলেজিয়াম
এরপরেই এই বিষয়ে রত্নার বক্তব্য জানতে চায় হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য এদিন রত্নার আইনজীবীকে বলেন, ‘আপনার মক্কেলের বক্তব্য দুপুর ১টার মধ্যে জানান’। একইসঙ্গে বলেন, এমতাবস্থায় মূল আবেদনের ওপর এর প্রভাব পড়বে।
এদিন প্রথমেই শোভনের আইনজীবী কল্যাণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রত্নার বক্তব্য জানতে চেয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি। রত্নার আইনজীবী আদালতের কাছে আবেদন করেন, ‘দুই পক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হোক, প্রকাশ্যে কিংবা সংবাদমাধ্যমে যেন কোনও রকম মন্তব্য না করেন’। বিচারপতি পাল্টা বলেন, ‘ওই বিষয়ে দু’দিন থেমে যেতে বলেছিলাম। আপনারা কোনও অবস্থান কেন জানালেন না? এটা কি আশা করতে পারি না?’