বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিশ্ব বাজারে ফের কিছুটা কমল অপরিশোধিত তেলের দাম। বর্তমানে দাম কমে ব্যারেল প্রতি অশোধিত তেলের (ব্রেন্ট ক্রুড) বিক্রি হচ্ছে ৭১-৭২ ডলারে। পাশাপাশি প্রায় ৬৮ ডলারে নেমে এসেছে ডব্লিউটিআই-এর দামও। ভারতসহ (India) একাধিক দেশ অনেকটাই কম দামে কিনতে পারছে অপরিশোধিত তেল (Crude Oil)।
ভারতের (India) জ্বালানি দামে কী বদল আসছে?
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমলেও, দেশে (India) পেট্রল-ডিজ়েলের দামের ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা খুব একটা নেই। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, বিশ্ববাজারে তেলের দাম সস্তা হলেও তার প্রত্যক্ষ প্রভাব আমজনতার উপর না পড়ার কারণ টাকার নিরিখে ডলারের চড়া দাম।
আরোও পড়ুন : যাত্রীদের জন্য দুর্ধর্ষ চমক রেলের! বদলে গেল হাইস্পিড ট্রেনের সংজ্ঞা, মিলল বড় আপডেট
সেই কারণে রাষ্ট্রয়ত্ত তেল সংস্থাগুলির আমদানি খরচ কমছে না। যার ফলে দেশের বাজারে পেট্রোল-ডিজেলের (Petrol-Diesel) দাম কমার সম্ভাবনা খুব একটা নেই। আবার অনেকে এই অবস্থার দায় চাপিয়েছেন দেশের রাজনৈতিক দলগুলির ‘ভোট পলিটিক্সের’ উপর। অনেকেই মনে করছেন, শুধুমাত্র নির্বাচনের আগেই দেশের বাজারে দাম কমে জ্বালানির।
আরোও পড়ুন : নতুন বিচারপতি পাবে কলকাতা হাইকোর্ট? ‘এই’ ৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করল কলেজিয়াম
আবার কেউ কেউ মনে করছেন, আদৌ জ্বালানির (Fuel) দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখাও প্রয়োজন। বিশেষ করে গত বাজেটে মোদি সরকারের বিপুল কর ছাড়ের ঘোষণার পর কেন্দ্রের উৎপাদন শুল্ক হ্রাস করার সম্ভাবনা খুব কম। সরকারকে ওই খাতে ছেড়ে দিতে হচ্ছে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার রাজস্ব।
অর্থনীতিবিদ অজিতাভ রায়চৌধুরী জানান, ‘‘অশোধিত তেলের দাম একটি স্তরে ঘোরাফেরা করছে বটে। তবে ডলারের সাপেক্ষে টাকাও ৮৬-৮৭-র স্তরে নেমেছে। ফলে হিসাব করে দেখতে হবে আখেরে লাভ না ক্ষতি হচ্ছে। দাম কমানোর জায়গা আছে কি না। কারণ, শোধনের খরচ মোটের উপর একই রয়েছে।’’
বণিকসভা মার্চেন্টস চেম্বারের অর্থনৈতিক ও ব্যাঙ্কিং কমিটির চেয়ারম্যান স্মরজিৎ মিত্রও জানাচ্ছেন, ‘‘অশোধিত তেলের দাম কমা ভাল বিষয়। কিন্তু টাকার লাগাতার অবমূল্যায়নে তেল সংস্থাগুলির আমদানির খরচ বেশি পড়ছে হচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। ফলে আপাতত দাম কমবে মনে হয় না।’’