বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে (Bardhaman University) আর্থিক প্রতারণা মামলা শুনানির জন্য উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। অভিযোগ ছিল বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভেঙে কোটি কোটি টাকা তছরুপ করা হয়েছে। এবার সেই তদন্তের কেস ডায়রি তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।
বড় নির্দেশ হাইকোর্টের- Calcutta High Court
শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা শুনানির জন্য উঠলে অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়াকে, টাকা নয়ছয় অভিযোগ খতিয়ে দেখে আগামী শুনানিতে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কেও (Burdwan University) হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
এদিন দীর্ঘক্ষণ শুনানি চলে হাইকোর্টে। বিচারপতির নির্দেশ, অভিযুক্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কে। একইসাথে এই সংক্রান্ত মামলায় এদিন সিআইডিকে চার্জশিট জমা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
কী অভিযোগ? বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের যোগসাজশে সেখানে কমপক্ষে ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ এর সাথে জড়িত রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রেজিস্ট্রার এবং ফিনান্স অফিসার। এই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন রেজিস্ট্রার। শুরু হয় তদন্ত।
রিপোর্ট পেশ করে সিআইডি জানায়, প্রায় ২ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে যে ন’জন অভিযুক্তের নাম উঠে এসেছে তাদের মধ্যে সাত জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় CID। এই মামলায় ইডির কাছেও অভিযোগ জমা পড়েছিল। যদিও সবাই জামিনে রয়েছেন বলে দাবি করা হয় রিপোর্টে। সিআইডি জানায়, ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে বিপুল টাকা নয়ছয় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যে CRPF নামানোর হুঁশিয়ারি জাস্টিস ঘোষের, ৭দিনের টাইট ডেডলাইন! কোন মামলায়?
এদিকে এই মামলায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ওরফে ইডিও। আদালতে ইডি জানিয়েছে, ECIR দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।