বাংলাহান্ট ডেস্ক : কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ভারতের প্রত্যেকটি পড়ুয়ার জন্য বিশেষ ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয় অনেক আগেই। ২০২০ সালের ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি-তে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর সহ আপার আইডি কার্ড (APAAR ID Card) তৈরির প্রস্তাবও পেশ করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য বলছে, আপার আইডি কার্ডের জন্য এখনও পর্যন্ত নাম নথিভুক্ত করেছেন ৩১ কোটি ৫৬ লক্ষ পড়ুয়া (Students)।
আপার আইডি কার্ড (APAAR ID Card) সম্পর্কিত তথ্য
আপার কার্ডের সম্পূর্ণ অর্থ হল অটোমেটেড পার্মানেন্ট অ্যাকাডেমিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রি। এই ইলেকট্রনিক্স আইডেন্টিফিকেশনের মাধ্যমে দেশের যেকোনও প্রান্তের পড়ুয়াদের নাম, ঠিকানা, বিভিন্ন শ্রেণীর রেজাল্ট, স্কলারশিপ সংক্রান্ত তথ্য চলে আসবে হাতের মুঠোয়। সরকারি-বেসরকারি স্কুলের যেকোনও পড়ুয়ার অ্যাকাডেমিক কেরিয়ারের যাবতীয় তথ্য আপার আইডি ব্যবহার করে জানা যাবে একটি মাত্র ক্লিকে।
আরোও পড়ুন : একমাসেই “খেল খতম”! TRP-র অভাবে ধুঁকছে সিরিয়াল, নায়ক বদলের দাবি জলসার মেগাতে
APAAR ID কার্ডের গুরুত্ব:
• একজন পড়ুয়া কত সালে কোন ক্লাসে কত নম্বর পেয়েছে তার যাবতীয় তথ্য সন্ধান করা যাবে APAAR ID-র মাধ্যমে।
• অ্যাকাডেমিক কেরিয়ার মনিটরিং করতে অত্যন্ত সহায়ক হবে এই কার্ড।
• আপার কার্ডের লিঙ্ক থাকবে আধার কার্ডের সাথে। তাই আপার আইডি কার্ড ব্যবহার করা যাবে পরিচয়পত্র হিসাবেও।
• স্কলারশিপের আবেদন করা আরও সহজ হবে এই কার্ডের মাধ্যমে। একাধিক কাগজপত্র জমা দেওয়ার বদলে, শুধু আপার কার্ডের মাধ্যমেই জানানো যাবে আবেদন।
কীভাবে তৈরি করবেন আপার আইডি কার্ড?
আপার আইডি কার্ড তৈরি করার জন্য ভিজিট করতে হবে আপারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। সেখান থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে যথাযথভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে স্কুলে। তারপর স্কুলের মাধ্যমেই তৈরি হবে আপার আইডি কার্ড। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, আপার আইডি কার্ড তৈরির জন্য প্রয়োজন হবে অভিভাবকের অনুমতিও।