বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে নিয়োগ (Recruitment)। আদালতে চলছে মামলা। কর্মশিক্ষা-শারীরশিক্ষা বা এসএলএসটি নিয়োগ মামলায় পক্ষ হতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আবেদন জানিয়েছিলেন প্রায় পাঁচশো চাকরিপ্রার্থী। এদিকে পাল্টা চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনে আপত্তি জানান আবেদনকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)।
হাইকোর্টের বড় নির্দেশ- Calcutta High Court
শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে এই মামলার শুনানি চলাকালীন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মৌখিক আপত্তি শুনল না হাই কোর্ট। রীতিমতো আদালতে ‘ধাক্কা’ খেয়েছেন হেভিওয়েট আইনজীবী। তার বিরোধিতার যুক্তির পাল্টা বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানতে চেয়েছেন, কেন ওই পাঁচশো চাকরিপ্রার্থী মামলায় পক্ষভুক্ত হতে পারবে না?
এরপরই ২০ মার্চ, মামলার পরবর্তী শুনানিতে এই বিষয়ে হলফনামা পেশ করে জবাবদিহি করার জন্য মূল মামলাকারীকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের SLST-র মাধ্যমে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের প্যানেল তৈরি হয়েছিল। যার মধ্যে অধিকাংশ চাকরিপ্রার্থীই নিয়োগপত্রও হাতে পেয়ে গিয়েছিলেন। এরপরই হয় বিপত্তি। গুটি কয়েক অযোগ্য প্রার্থী মামলা করায় গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই এখনও আটকে রয়েছে।
অভিযোগ, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর এই মামলার কারণেই নিয়োগ আটকে রয়েছে। ২০২২ সালে রাজ্য সরকারের তৈরি অতিরিক্ত ১৬০০ শূন্যপদ নিয়ে এই মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। অভিযোগ, অনেক যোগ্য চাকরিপ্রার্থী সুপারিশপত্র পেলেও নিয়োগ পাননি। মূল মামলাকারীর তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর দাবি, তার মক্কেলকে বঞ্চিত রেখে উলটো পথে নিয়োগের চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।
পাল্টা রাজ্যের দাবি, “রাজ্য নিজের অধিকারেই ক্যাবিনেটে এই শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা যাতে কর্মহীন না হন, তার জন্য এই পদ তৈরি হয়েছে।” সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা বিচারাধীন একটা মেমো নম্বর ছাড়া তার সঙ্গে এই মামলার কোনও সম্পর্ক নেই বলেও কোর্টে (Calcutta High Court) জানায় রাজ্য।
আরও পড়ুন: ‘এই’ দিনই সুপ্রিম কোর্টে DA মামলার চূড়ান্ত ফয়সালা? শুনানি নিয়ে উদ্বেগ সরকারি কর্মীদের! কেন?
এদিকে যোগ্য প্রার্থীদের আইনজীবী এই মামলায় পক্ষভুক্ত হতে আবেদন করে দাবি করেন, “এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও অস্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়নি। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের দেওয়া নির্দেশ মতোই নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। যারা নিয়োগ পেয়েছেন, প্রত্যেকে প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তাই অকৃতকার্য কোনও প্রার্থী সফল তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগ নিয়ে চ্যালেঞ্জ করতে পারে না।”