‘আত্মঘাতী হলে চাকরি দেবেন?’ নিয়োগ নিয়ে জটিলতায় ক্ষুব্ধ! কড়া প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ জটিলতায় আটকে রয়েছে বহু চাকরি (Job)। দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগপত্রের জন্য অপেক্ষা করছেন অনেকে। এই আবহে এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে পড়লেন দুই আধকারিক। গ্রেফতারির হুঁশিয়ারির পর শুক্রবার উচ্চ আদালতে হাজিরা দেন শিক্ষা দফতরের কমিশনার ও মালদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান। এখনও কেন আদালতের নির্দেশ কার্যকর হয়নি? এই নিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানান তাঁরা। এরপরেই বিচারপতি রাজশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) বলেন, দুই আধিকারিকের মতামত এক নয়।

বড় নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)!

২০০৯ সালে প্রাথমিকের নিয়োগ (Primary Recruitment) প্রক্রিয়া নিয়ে মালদহে শূন্যপদে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত বলেন, একাধিকবার আদালতের তরফ থেকে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হলেও কর্তৃপক্ষ সেই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এখন অ্যাডমিট কার্ড সংক্রান্ত একটি সমস্যার যুক্তি দেখানো হচ্ছে।

এদিন হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরা দিয়ে শিক্ষা দফতরের কমিশনার বলেন, ইতিমধ্যেই ৩১২ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে। শীঘ্রই তাঁদের নিয়োগপত্র প্রদান করা হবে। জাস্টিস মান্থা বলেন, ‘আপনাদের কথা পরস্পর বিরোধী। যথেষ্ট হয়েছে। এবার আদালতের নির্দেশ কার্যকর করুন’।

আরও পড়ুনঃ কোথায় নারী নিরাপত্তা? হাইকোর্ট চত্বরে আক্রান্ত খোদ মহিলা সাংবাদিক! তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলা হান্ট

এই বিষয়ে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ওই আধিকারিকেরা আদালতের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছেন। হাইকোর্টের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও এত দিনে ওই নিয়োগ (Recruitment) প্রক্রিয়ায় চাকরি দেওয়া হল না। এখন নতুন যুক্তি আদতে চাকরি না দেওয়ার একটি অজুহাত। জাস্টিস মান্থা এদিন জিজ্ঞেস করেন, ‘ওই চাকরিপ্রার্থীরা আত্মঘাতী হলে চাকরি দেবেন?’

উল্লেখ্য, উত্তর ২৪ পরগণা এবং মালদহে প্রাথমিক শিক্ষকের (School Teachers) কিছু শূন্যপদে নিয়োগ আটকে আছে। আবেদনকারীরা ২০০৯ সালের চাকরিপ্রার্থী। সম্প্রতি এই বিষয়ক মামলায় নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে অভিযোগ, নানান বাহানায় নিয়োগ আটকে দেওয়া হচ্ছে। বহুবার হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে।

Calcutta High Court

এই নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের চেয়ারম্যান ও ওই দুই জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জমা তলব করেন বিচারপতি মান্থা। তাঁদের উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়ে হুঁশিয়ারিও দেন। শেষ অবধি গতকাল আদালতে হাজিরা দেন তাঁরা।

গত বুধবার এই মামলায় হাইকোর্ট (Calcutta High Court) জানায়, একাধিকবার বলা সত্ত্বেও আদালতের নির্দেশ কার্যকর হয়নি। চাকরিপ্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। বিচারপতি  নির্দেশ দেন, ওই দু’জন আধিকারিককে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, কেন তাঁদের গ্রেফতার করা হবে না? কেন ৩ মাসের জন্য তাঁদের জেল হবে না? ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই নিয়ে জবাব তলব করেছিল আদালত। সেই মতো গতকাল আদালতে হাজিরা দেন ওই আধিকারিকরা।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর