বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ জটিলতা। আদালতে চলছে মামলা, ঝুলে রয়েছে বহু চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য। এবার যেমন সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা চলার কারণে ২০১৬ সালের স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্টের কর্মশিক্ষা এবং শারীরশিক্ষায় সুপার নিউমেরারি পোস্ট বিষয়ক মামলার শুনানি পিছিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court))। সেই সঙ্গেই বড় নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)।
কী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
শুক্রবার উচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানি ছিল। ২০১৬ সালের এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেই ভেবেছিলেন, এদিন হয়তো কোনও আশার আলো দেখা যাবে। তবে এমনটা হয়নি। পিছিয়ে যায় মামলার শুনানি। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি মামলা চলছে। এই মামলায় শীর্ষ আদালত রায় দেওয়ার পরেই উচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২০ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা।
এদিকে সুরাহার দাবিতে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। এসএলএসটি প্রার্থীদের (SLST Case) নিয়ে গতকাল ধর্মতলায় ‘হাইকোর্ট চলো’ মিছিলে শামিল হন তৃণমূল নেতা। রানি রাসমণি রোডে সেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। এরপর রাস্তাতেই বসে পড়েন কুণালরা। চাকরিপ্রার্থীদের পাশাপাশি বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ‘বাবা এখন অলমোস্ট…’! কেমন আছেন মুকুল রায়? অবশেষে জানালেন ছেলে শুভ্রাংশু
এদিন বিক্ষোভে শামিল হয়ে কুণাল বলেন, ‘এদের প্যানেল বৈধ। এখানে কোনও দুর্নীতি নেই। বেআইনিভাবে স্থগিত করিয়ে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য নিয়োগ আটকে রেখেছেন’। অন্যদিকে আবার একপক্ষ নতুন করে মামলায় যুক্ত হওয়ার আর্জি জানান হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। তাঁদের দাবি, আদালত অবমাননার অ্যাপ্লিকেশন করা হয়েছে। সেই কারণে তাঁরাও এই মামলায় যুক্ত হতে চান।
মামলাকারীর আইনজীবীকে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জিজ্ঞেস করেন, ‘সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ছাড়া রাজ্যের সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি অমূলক। সেই ক্ষেত্রে এদের যুক্ত করার বিষয়ে আপনার কী মত?’ জবাবে আইনজীবী বলেন, ‘এই পোস্ট অবৈধভাবে তৈরি করা হয়। পোস্ট তৈরি করে নিয়োগের সুপারিশও করা হয়েছে’। বিচারপতি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে বিচার আটকে রয়েছে। এই বিষয়ে শীর্ষ আদালত নিজের অবস্থান জানালে, এটা নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে’।