বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে. ত্রিপাঠি গত শুক্রবার জানিয়েছেন যে, গত কয়েক দশকে চিন ভারত মহাসাগর অঞ্চলে তাদের উপস্থিতি বাড়িয়ে চলেছে এবং সেখানে প্রায়শই ৬-৮টি চিনা সামরিক জাহাজ উপস্থিত থাকে। এমতাবস্থায়, তিনি প্রতিবেশী দেশকে সতর্ক করেও জানেন যে, ভারত (India) জানে তার সীমা কোথায়। জানিয়ে রাখি যে, অ্যাডমিরাল ত্রিপাঠি “ভারত ২০৪৭: যুদ্ধে স্বনির্ভর” শীর্ষক একটি সম্মেলনে অংশ নিতে নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছিলেন।
কড়া হুঁশিয়ারি ভারতের (India):
ওই অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে নৌবাহিনী প্রধান বলেন, ভারত (India) চায়না এমন কোন জায়গায় ভারত চিনকে আসতে দেয়নি। তিনি বলেন, “চিন গত কয়েক দশক ধরে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে তার উপস্থিতি বাড়িয়ে চলেছে। শুধু মহাসাগরেই নয়, স্থলভাগেও এই দেশ পরিলক্ষিত হচ্ছে। PLA নৌবাহিনী, যা সংখ্যার দিক থেকে বৃহত্তম নৌবাহিনী, জলদস্যুদির অবসান সত্বেও প্রায়শই সময়ে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ৬ থেকে ৮ টি সক্ষম যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন রাখে।” নৌবাহিনী প্রধান বলেন, “অনেক কিছু ঘটছে। ভালো কথা হল ভারতীয় নৌবাহিনী হিসেবে আমরা সম্পূর্ণরূপে সচেতন যে কোথায় কি ঘটছে এবং কারা এটি করছে এবং কেন করছে।”
চিনের অজুহাত: তিনি আরও বলেন, সামুদ্রিক ক্ষেত্রে ভারত সব দিক থেকে সক্ষম। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে আসার জন্য চিনের প্রাথমিক অজুহাত ছিল যে তারা জলদস্যুতার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। কিন্তু সে সবই ইতিহাস হয়ে গেছে। আমরা জানি তারা কি করছে। আমরা সবাই জানি যে তারা এমন কিছু করছে যা তাদের করা উচিত নয়। যেমন অবৈধ কাজ, অনিয়ন্ত্রিত মাছ ধরা ইত্যাদি। কিন্তু আমরা এই সব বন্ধ করতে পারি না।” নৌবাহিনী প্রধান বলেন যে, “ভারত (India) কেবল নিশ্চিত করতে পারে যে চিন আমাদের স্বার্থের ক্ষেত্রে যাতে কিছু না করে।”
আরও পড়ুন: এর আগে কেউই পারেনি! নতুন ইতিহাস তৈরি করল Tata-র এই বৈদ্যুতিক গাড়ি, ধন্য ধন্য করছে সকলে
চিন ও পাকিস্তানের মধ্যে সামুদ্রিক সম্পর্ক: অ্যাডমিরাল ত্রিপাঠি বলেন, চিন দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানকে সামুদ্রিক সরঞ্জাম ও ব্যবস্থা সরবরাহ করে আসছে। নৌবাহিনী প্রধানের মতে, “২০০৯ সাল থেকে চিন পাকিস্তানকে ৩ টি ফ্রিগেট সহ F-22 ও Type 054 সরবরাহ করেছে। তারা একটি স্যাটেলাইট নজরদারি জাহাজও দিয়েছে।”
আরও পড়ুন: ভারতের ওপরেই রয়েছে ভরসা! চিনকে ঝটকা দিয়ে নয়া নজির গড়তে প্রস্তুত বিশ্বের জনপ্রিয় এই সংস্থা
অ্যাডমিরাল ত্রিপাঠী বলেন, “সাবমেরিনগুলি আমাদের সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং বাণিজ্যের জন্য যে হুমকি সৃষ্টি করে সেই সম্পর্কে আমরা অবশ্যই সচেতন এবং আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি।” তিনি বলেন, “চিন ও পাকিস্তানের মধ্যে এই সামুদ্রিক সংযোগের কারণে আমাদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য ভারত সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।”