‘বাবা এখন অলমোস্ট…’! কেমন আছেন মুকুল রায়? অবশেষে জানালেন ছেলে শুভ্রাংশু

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে মুকুল রায়কে (Mukul Roy) ‘বেইমান’ তকমা দেন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় মঞ্চের অদূরেই ছিলেন মুকুল-পুত্র তথা বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় (Subhranshu Roy)। এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ চর্চা হয়েছে। কটাক্ষ শানিয়েছেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। এবার সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই মুকুল রায়ের শারীরিক অবস্থার আপডেট দিলেন শুভ্রাংশু।

কেমন আছেন মুকুল (Mukul Roy)?

দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন মুকুল। প্রবীণ এই রাজনীতিককে এখন আর সেভাবে দেখা যায় না। একপ্রকার লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গিয়েছেন তিনি। এখন কেমন আছেন বর্ষীয়ান নেতা? এবার সেকথাই জানালেন তাঁর ছেলে।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের এবং বাবার রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করে দেন শুভ্রাংশু। তিনি জানান, মুকুল রায় এখনও তৃণমূল কংগ্রেসেরই (TMC) অংশ। তাঁর স্বাস্থ্যের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে শুভ্রাংশু বলেন, ‘ডাক্তারি ভাষায় কোমার অনেকগুলি স্টেজ রয়েছে। বাবা এখন অলমোস্ট কোমার দিকে। হাত, পা নাড়াতে পারেন না, কথা বলতে পারেন না। কোনও সেন্স নেই। মাঝে মাঝে তাকাচ্ছেন। খুব কম। মাঝেমধ্যে খিঁচুনি হচ্ছে’।

আরও পড়ুনঃ রেজাল্ট আউট! ডাক্তারি পরীক্ষায় পাশ করলেন আরজি কর আন্দোলনের অনিকেত?

প্রবীণ এই রাজনীতিককে এখন রাইলস টিউবের মাধ্যমে খাওয়াতে হচ্ছে। কেবলমাত্র নিঃশ্বাস নিচ্ছেন তিনি। বাবার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানানোর পাশাপাশি তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেকের (Abhishek Banerjee) ‘বেইমান’ মন্তব্য নিয়েও প্রতিক্রিয়া দেন শুভ্রাংশু।

Mukul Roy

মুকুল-পুত্র (Mukul Roy) এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘দল যখন তৈরি হয়েছিল, তখন তাদের মধ্যে একজন ছিলেন বাবা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথা বলেছেন, তার উত্তর দেওয়ার জন্য দলের মুখপাত্ররা রয়েছেন। এটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাবার বিষয়’। এই নিয়ে তিনি বাইরে কোনও কথা বলবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন শুভ্রাংশু।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর