বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের বহরমপুর পুরসভার দুই স্কুলের দু’জন শিক্ষিকার বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ। ইতিমধ্যে এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা নাকি স্কুলের পড়ুয়াদের গোপনাঙ্গ দেখাতেন এবং পড়ুয়াদের গোপনাঙ্গে হাত দিতেন।
শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে পকসো মামলার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী অধীরের (Adhir Chowdhury)
শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগকে সরাসরি, ‘চক্রান্ত’ বলে দাবি করেছেন অধীর (Adhir Chowdhury) বাবু। তাঁর দাবি দুই শিক্ষিকা কংগ্রেস করায় তাঁদের বিরুদ্ধে এই ‘ষড়যন্ত্র’ করা হয়েছে। এবার এই অভিযোগ জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ। তিনি দাবী করেছেন পৌরসভা নোংরা এবং ঘৃণ্য রাজনীতি করছে।
নিজের দাবির পক্ষে অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) জানিয়েছেন গত মে মাসে এই দুজন শিক্ষিকার বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তারপরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তারা। ওই মামলায় হাইকোর্ট অবিলম্বে দুই শিক্ষিকার বেতন চালু করার নির্দেশ দিয়েছিল। আদালতের নির্দেশ মিলতেই গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে আবার বেতন চালু করা হয়েছিল দুই শিক্ষিকার। কিন্তু পুরসভা এই বিষয়টি মেনে নিতে না পারায় এবার তাদের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক চক্রান্ত’ করা হচ্ছে, বলে দেবী অধীরবাবুর। তাই এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অধীর চৌধুরী অনুরোধ করেছেন ওই শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে ওঠা মিথ্যা অভিযোগ যেন অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ‘আমার সংস্থা’ বলেছিলেন অভিষেক! সেই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল CBI
জানা যাচ্ছে, শনিবার মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে অধীর বাবু লিখেছেন আদালতের রায় যে শিক্ষিকাদের পক্ষে গিয়েছে তা মেনে নিতে পারেনি পুর-কর্তৃপক্ষ। তাই তারা ‘জঘন্য ষড়যন্ত্র’ করে মিথ্যা অভিযোগ তৈরি করেছে। যদিও বহরমপুর পুরসভার পুরেপ্রধান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় এই চক্রান্তের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি পুরসভার তরফে কোন ষড়যন্ত্র করা হয়নি। অনেক কংগ্রেস কর্মী সমর্থক ওই পুরসভায় কাজ করেন। তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হতো। তিনি জানিয়েছেন, অভিভাবকরা ওই দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তাই তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে সবশেষে প্রয়োজনে আইনের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী।
অভিযোগ বহরমপুরের গোড়াবাজার ও সৈয়দাবাদ এলাকার দুটি অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের গোপনাঙ্গ দেখানো এবং তাতে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। এই ঘটনার পর শোরগোল পড়ে যায় চারিদিকে। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।