‘অবিলম্বে পদক্ষেপ করুন..,’ রাজ্য ও পুরসভাকে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রতিনিয়তই রাজ্যে জমি দখলদারির অভিযোগ সামনে আসছে। এবার গঙ্গার জমি দখল (Land Grabbing) ঘিরে মারাত্মক অভিযোগে রীতিমতো শোরগোল। অভিযোগ, দখল করা জমিতে রীতিমতো একটি বহুতল গজিয়ে উঠেছে। অভিযোগের তীর হাওড়ার বালির প্রোমোটারের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে জল গড়িয়েছিল হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।

কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট? Calcutta High Court

মামলাকারীর অভিযোগ, বালি কেদারঘাট এলাকায় গঙ্গার তিনটি দাগের জমি দখল করা হয়েছে। প্রথমে সেই জমিতে রাবিশ ফেলে ভরাট করে এখন পাঁচিল দিয়ে পর্যন্ত ঘিরে ফেলা হয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগ, ওই স্থানে বহুতল নির্মাণ করছেন মহেশ সুরেখা নামে এক স্থানীয় প্রোমোটার।

আদালতে মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, গোটা ঘটনার কথা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর ও পুর কর্তৃপক্ষ-সহ একাধিক জায়গায় জানিয়েছিলেন তিনি। তবে অভিযোগ জানানোর পরও কোনও সুরাহা হয়নি। সেই মামলাতেই এবার বালি পুরসভা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিককে যৌথ তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি চৈতালী চট্টোপাধ্যায়ের (দাস) ডিভিশন বেঞ্চে মামলা উঠলে রাজ্য জানায়, ইতমেধ্যেই ওই বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এদিকে পুরসভার জানায়, পুড়সভা এখনও ওই জায়গা পরিদর্শন করেনি। আদালত নির্দেশ দিলে রাজ্য ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর ও পুরসভা যৌথভাবে অনুসন্ধান করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা জানানো হয়।

Calcutta High Court

আরও পড়ুন: গুগলের দিন শেষ! সত্যিই কী তাই? মাথায় হাত পড়বে সকলের! চমকে দেবে সমীক্ষার এই রিপোর্ট

প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, অবিলম্বে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ও পুরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে হবে। তারপর তারা রিপোর্ট জমা দেবে আদালতে। যদি রিপোর্টে দেখা যায় ওই নির্মাণ বেআইনি তাহলে তা ভেঙে ফেলার জন্য পুরসভাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) আরও নির্দেশ, যৌথ অনুসন্ধানের সময় প্রয়োজনীয় পুলিসি প্রহরাও রাখতে হবে।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর