বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলা তো বটেই, গোটা ভারতের অন্যতম নামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। গত শনিবার সেখানেই দেখা যায় নৈরাজ্যের ছবি। ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পাল্টা মন্ত্রীর গাড়ি দিয়ে এক পড়ুয়াকে ‘চাপা’ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই আবহে এবার মুখ খুললেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। বাম ও অতি বামরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
যাদবপুর নিয়ে বিস্ফোরক কল্যাণ (Kalyan Banerjee)!
রবিবার বৈদ্যবাটির একটি রক্তদান শিবিরে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। সেখানেই শিক্ষামন্ত্রীর হেনস্থা নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার অচলাবস্থার জন্য বামেদের দিকে আঙুল তোলেন প্রবীণ নেতা। দাবি করেন, বাম ও অতি বামরাই যাদবপুরের ঐতিহ্যকে নষ্ট করেছে।
কল্যাণ (Kalyan Banerjee) এদিন একাধিকবার স্মরণ করিয়ে দেন, গত ৭-৮ বছর ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকে বাম ও অতিবামরা এমন কিছু কার্যকলাপ করেছে যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম খারাপ হয়েছে। সম্মান নষ্ট হয়েছে, দেশের লজ্জায় পরিণত করেছে।
আরও পড়ুনঃ ছাব্বিশের মাধ্যমিক নিয়ে বড় খবর! ভোটের জন্য এগোবে পরীক্ষা? সামনে নয়া আপডেট
শিক্ষামন্ত্রীর ওপর বামপন্থী সমর্থকদের চড়াও হওয়ার বিষয়টি নিয়েও এদিন সরব হন শ্রীরামপুরের সাংসদ। তিনি বলেন, অভিযোগ থাকতেই পারে। এর জন্য সুষ্ঠু আলোচনার দরকার। এভাবে থাপ্পড় মেরে, ঘেরাও করে, গাড়ি আটকে পরিস্থিতিকে আরও অশান্ত করে তোলা হয়েছে। এদিন কল্যাণ প্রশ্ন তোলেন, এটা কেমন ঘটনা? বাম এবং অতি বামরা যাদবপুরের ইতিহাস নষ্ট করেছে।
উল্লেখ্য, শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলন ছিল। সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই সভাকে কেন্দ্র করে বাম ছাত্র সংগঠনগুলি বিক্ষোভ দেখায়। ছাত্র সংসদ ভোটের দাবি ছিল তাঁদের। এরপর শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের লাগাতার অচলাবস্থার জন্য বাম ও অতিবামদের কাঠগড়ায় তুললেন তিনি।