বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে এবার মোড় ঘোরাতে চলেছে সিবিআই। সদ্য দিল্লি গিয়ে সিবিআই ডিরেক্টরের সাথে দেখা করে এসেছেন তিলোত্তমার বাবা-মা। তারপরেই এবার ১৯৫ দিন পরে আবার নড়েচড়ে বসল সিবিআই। আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের স্বার্থে এবার ১২ পুলিশ কর্মীকে তলব করেছে সিবিআই।
মোড় ঘুরছে আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের
প্রসঙ্গত সিবিআই তদন্তের শুরু থেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সেকথা জানিয়ে ইতিমধ্যে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিযোগ জানিয়েছিলেন দিল্লির সিবিআই দফতরেও। তারপরেই এবার মোড় ঘুরতে চলেছে আরজি কর (RG Kar) মামলার। তবে এত প্রতিকূলতার পরেও তিলোত্তমার বাবা-মা জানিয়েছেন আদালতের উপর তাঁদের ভরসা আছে। একইসাথে তাঁদের চ্যালেঞ্জ, যে করেই হোক, মেয়ের বিচার তাঁরা পেয়েই ছাড়বেন।
তিলোত্তমার বাবা জানিয়েছেন, ‘স্বশাসিত সংস্থা বলা হলেও, এই পাঁচ মাসে আমার ধারণা জন্মেছে, তাঁরাও কারোর না কারোর দ্বারা প্রভাবিত হয়।’ সম্প্রতি দিল্লিতে সিবিআই দপ্তরে গিয়ে শিয়ালদহ কোর্টের বিচারক অনির্বাণ দাস তাঁর রায়ের কপিতে যে সমস্ত বিষয় পর্যবেক্ষণ করেছিলেন, সেগুলি সিবিআই ডিরেক্টরের কাছে তুলে ধরেছিলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। আর কি জানিয়েছিলেন তাঁরা? নির্যাতিতার বাবার কথায়, ‘জানিয়েছিলাম মেয়ের ডেথ সার্টিফিকেট এখনও আমরা পাইনি। সিবিআই-এর ডিএসপি গর্ব করে বলছিলেন, তাঁরা নাকি একজনকে কনভিক্ট করে সাজা পাইয়ে দিয়েছেন।’ তারপরেই তাঁর প্রশ্ন কিন্তু এটা কী হল, যেখানে আমারাই মেয়ের ডেথ সার্টিফিকেট পেলাম না, সেখানে একজন কনভিক্ট হয়ে তার যাবজ্জীবন হয়ে গেল কী করে?’
আরও পড়ুন: বিপর্যয় মোকাবিলায় বড় পদক্ষেপ! বাড়ছে রাজ্যের পুলিশ বাহিনী
মেয়ের ডেথ সার্টিফিকেট প্রসঙ্গে তিনি আরও বললেন, ‘সিবিআই রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ ফোন করে উল্টে আমাকেই প্রশ্ন করে, আমরা কেন ডেথ সার্টিফিকেট পেলাম না।’ তখন তিনি পাল্টা প্রশ্ন জবাব দিয়েছেলেন, ‘সেটা তো আপনাদেরই জানার কথা। চার্জশিট দেওয়ার পর তো সিবিআই আর নড়াচড়া করছিল না। আজ দেখলাম ১৯৫ দিন পর সিবিআই ১২ জন পুলিশ কর্মীকে ডাকল।’
তবে তিলোত্তমার মা জানিয়েছেন আদালতের ওপর তাঁদের ভরসা রয়েছে। একইসাথে তিনি জানালেন,’যেদিন আমি সেমিনার রুমে মেয়ের রক্তাক্ত মুখটা দেখেছিলাম, সেদিনই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, বিচার আমরা ছিনিয়ে আনবই। যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন আমাদের এই লড়াই।’ প্রসঙ্গত আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে সময় মতো চার্জশিট জমা দিতে না পারার জন্য ইতিপূর্বে একাধিকবার ভর্ৎসিত হয়েছে সিবিআই।