বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জটিলতার জেরে দীর্ঘদিন আটকে বহু শিক্ষক (School Teacher) নিয়োগ। অনেক ক্ষেত্রে মামলা চলছে, যে কারণে থমকে রয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এবার যেমন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBPE)। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রশ্নের মুখে পড়েছে তারা।
প্রাথমিক শিক্ষক (School Teacher) নিয়োগে পর্ষদের অবস্থান বদল!
২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ১১,৭৬৫টি। ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট পাশ করা চাকরিপ্রার্থীরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেন। ৯৫৩৩ জনকে নিয়োগ করা হয়। এদিকে ন্যাশানাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশনের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন বা ডিএলএড না থাকলে প্রাথমিকের চাকরি পাওয়া যাবে না।
২০১৪ সালে টেট পাশ করা চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে যাদের এই ডিগ্রি ছিল না, তাঁরা ২০২০ সাল থেকে তা করতে শুরু করেন (School Teacher)। তবে ২০২২ সালে যখন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, সেই সময় তাঁরা কোর্স সম্পন্ন হওয়ার শংসাপত্র হাতে পাননি। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই তাঁরা শংসাপত্র পেয়ে যান। দেরিতে ডিএলএড উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা চাকরি পাবেন কিনা তা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয় মামলা।
আরও পড়ুনঃ আর চিন্তা নেই! বাসযাত্রীদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত সরকারের! ধন্য ধন্য করছে সকলে
ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে সেই মামলার শুনানি। রায়দান স্থগিত রেখেছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি মনোজ মিশ্র ও বিচারপতি পি এস নরসিমহার বেঞ্চ। তবে এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অবস্থান বদল নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত।
এই মামলার ক্ষেত্রে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রথমে জানিয়েছিল, যে সকল চাকরিপ্রার্থী দেরিতে ডিএলএড পাশ করেছেন, তাঁদের চাকরি প্রদান করা উচিত। তবে এখন সেই অবস্থান বদল করা হয়েছে। পর্ষদের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত বলেন, নিয়োগ (Teacher Recruitment) বিজ্ঞপ্তি জারি করার আগে ডিএলএড উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পর্ষদকে। কেন এই অবস্থান বদল? জিজ্ঞেস করেন বিচারপতি মিশ্র ও বিচারপতি নরসিমহা। জবাবে আইনজীবী জয়দীপ বলেন, এক্ষেত্রে ‘কেন’র কোনও জবাব নেই। অবস্থান বদল করাটাই সিদ্ধান্ত। পাল্টা দেরিতে ডিএলএড উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী পি এস পাটওয়ালিয়া বলেন, ২২৩২টি পদ এখনও ফাঁকা রয়েছে (School Teacher)। তাহলে কেন চাকরিপ্রার্থীরা বঞ্চিত হবেন?