পরিকল্পনায় বদল! ভারতের এই “বন্ধু”-কে যুদ্ধবিমান দেবেনা চিন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ভারতের বন্ধু দেশ মিশরকে বড় ধাক্কা দিল চিন (China)। আসলে, মিশরের কাছে J-10 যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে চিন অস্বীকার করেছে। এর আগে খবর ছিল যে, চিন মিশরীয় বিমান বাহিনীকে শক্তিশালী করতে J-10C যুদ্ধবিমান বিক্রির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একাধিক সূত্রের মতে, মিশর তার পুরনো আমেরিকান তৈরি F-16 ফাইটার প্রতিস্থাপনের জন্য একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছিল। তবে, সাম্প্রতিক রিপোর্টগুলি ইঙ্গিত করে যে চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র বেজিং এবং কায়রোর মধ্যে এই ধরণের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির ঘটনা অস্বীকার করেছেন।

ভারতের বন্ধুকে বড় ধাক্কা দিল চিন (China):

মিশর তার বিমান বাহিনীকে উন্নত করছে: জানিয়ে রাখি যে, মিশর তার বিমান বাহিনীতে বড় ধরণের আপগ্রেডিংয়ের কাজে যুক্ত রয়েছে। যার উদ্দেশ্য হল অপ্রচলিত অস্ত্রগুলিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন অস্ত্র দিয়ে প্রতিস্থাপন করা। এর মধ্যে রয়েছে মিগ-29এম-এর মতো সোভিয়েত অরিজিন বিমান এবং মিরাজ 2000-এর মতো পশ্চিমী যুদ্ধবিমান।

 China won't give fighter jets to this "friend" of India.

ইতিমধ্যেই ফ্রান্সের কাছ থেকে নতুন রাফাল বিমান কেনার চুক্তিও করেছে মিশর। যদিও, এখনও ওই বিমানের ডেলিভারির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে মিশরকে। এদিকে, মিশর অস্ত্র প্যাকেজ গ্রহণ এবং আধুনিকীকরণ আপগ্রেডের ওপর নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ফলস্বরূপ, এখন কায়রো আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য নতুন সরবরাহকারীদের সন্ধান করছে।

আরও পড়ুন: রোহিতের বডি শেমিং! “দলে জায়গা পাওয়াই উচিত নয়….”, বিরাট দাবি তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের

মিশরের J-10Cকেনার বিষয়ে আলোচনা হয়: এই কারণে, ২০২৪ সালের অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে অনুমান করা হয়েছিল যে মিশরীয় বিমান বাহিনী চিনের (China) চেংদু J-10C যুদ্ধবিমান ক্রয় করতে চলেছে। এমনটা হলে, মিশর চিনা J-10 এর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক অপারেটর হয়ে উঠবে। তবে, মিশরীয় বা চিনা সরকার গত কয়েক মাসে এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করেনি। বরং, এই গুজবগুলি থেকে এটাই স্পষ্ট হচ্ছে যে, মিশরের F-16s-কে ব্লক 70 ভাইপার সংস্করণে আধুনিকীকরণের বিষয়ে চিনা (China) প্রস্তাব প্রাধান্য পেয়েছে। এর পাশাপাশি অতি সম্প্রতি, মিশর তার প্রথম PL-15 এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল পেয়েছে।

আরও পড়ুন: ঘুরে গেল খেলা! এবার আদানিকে বড় স্বস্তি দিলেন ট্রাম্প, অবাক গোটা বিশ্ব

মিশরের সঙ্গে চুক্তির রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছে চিন: এদিকে, চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একজন মুখপাত্র স্পষ্ট করেছেন যে মিশরীয় বিমান বাহিনীকে J-10C বা এর রফতানি বৈকল্পিক, “CE”-র সাথে সজ্জিত করার জন্য কোনও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। চিনের (China) প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র উ কিয়ানের মতে: “এটি তথ্যের সাথে মেলে না। সম্পূর্ণ ভুয়ো খবর।” জানিয়ে রাখি যে, এখনও পর্যন্ত পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্স (পিএলএএএফ)-এর ফ্রন্টলাইন ফাইটারের প্রধান বিদেশি অপারেটর হল পাকিস্তান এয়ার ফোর্স। যারা ২০ থেকে ২৫ টি J-10CE ইউনিট অধিগ্রহণ করেছে। যেগুলি ২০২২-এর শুরু থেকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর