বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল ৩ মার্চ থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে উচ্চ-মাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষা। প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা বজায় রাখতে এবছর মাধ্যমিকের মতোই উচ্চ-মাধ্যমিকেও ব্যাপক কড়াকড়ি করা হচ্ছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে মোবাইলসহ অন্যান্য যেকোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস। পরীক্ষাকেন্দ্রে কেউ যাতে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে না পারেন তার জন্য উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের নির্দেশ মতো প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর রাখা হচ্ছে।
উচ্চ-মাধ্যমিকের (Higher Secondary) প্রথম দিনেই ধরা পড়ল মোবাইল
এত কড়াকড়ি করার পরেও উচ্চ-মাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষার প্রথম দিনই মোবাইল সমেত ধরা পড়েছে এক পরীক্ষার্থী। সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, উত্তর চব্বিশ পরগণার কামারহাটি হাই স্কুলের ওই ছাত্রের পরীক্ষার সিট পড়েছিল কামারহাটি সাগর দত্ত ফ্রি হাই স্কুলে। পরীক্ষা চলাকালীন তার কাছ থেকে মোবাইল পাওয়া যায়।
সংসদ সভাপতি জানিয়েছেন, ‘ওই পরীক্ষার্থীর সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।’ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে মেটাল ডিটেক্টর থাকার পরেও ওই পরীক্ষার্থী মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা দিতে ঢুকল কী করে? চিরঞ্জীববাবু জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের কাছে এই প্রশ্নের জবাব চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রিপিট হয়নি ২০১৫ সাল থেকে! কেমন হল উচ্চ-মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষার প্রশ্ন?
প্রসঙ্গত, প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে মেটাল ডিটেক্টর ছাড়াও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ‘রিভার্স জ্যাকেট’ নামে এক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে উচ্চ-মাধ্যমিক (Higher Secondary) শিক্ষা সংসদ। চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের কথায়, ‘রিভার্স জ্যাকেট’ ব্যবস্থায় প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পরে পরীক্ষার্থীরা দেখবেন ওই প্রশ্নের প্রথম ও শেষ পাতা জোড়া লাগানো রয়েছে। পরীক্ষা হলেই ওই জোড়া পাতা স্কেল বা পেনসিল দিয়ে খুলতে হবে’। তিনি জানান পরীক্ষা শুরুর আগে প্রশ্নপত্র কেউ যাতে খুলতে না পারে, তাই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেক প্রশ্নের পাতায় কিউআর কোড-ও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রায় সব জেলাতে উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হচ্ছে বলেই খবর। প্রথম পরীক্ষা বাংলার প্রশ্নপত্র পেয়ে খুশি হয়েছিলেন অধিকাংশ পরীক্ষার্থী। নদিয়ার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতর সূত্রে খবর, প্রথম দিনে নাকি মোট ৬২৬ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। জানা যাচ্ছে ওই সমস্ত অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের অধিকাংশই ছাত্রী।