ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ! এই একটা জিনিস দিয়েই ৩ দিক দিয়ে ভারতকে ঘিরে ধরেছে পাকিস্তান-মলদ্বীপ-বাংলাদেশ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারত (India) সীমান্তের কাছে তুরস্কের কাছ থেকে কেনা Bayraktar TB2 ড্রোন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি, তুরস্কের এই ড্রোন ভারতকে তিন দিক দিয়ে ঘিরে রেখেছে। হ্যাঁ, প্রথমে বিষয়টি পড়ে কিছুটা অবাক হলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। আসলে, দক্ষিণে মলদ্বীপ এবং পশ্চিমে পাকিস্তান ইতিমধ্যেই এই ড্রোন পরিচালনা করছে। এদিকে, ভারত সীমান্তের কাছে বাংলাদেশের Bayraktar TB2 ড্রোন মোতায়েন করার খবর সেই সময়ে এসেছে যখন পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সামরিক সম্পর্ক দ্রুত জোরদার হচ্ছে।

ভারত (India) সীমান্তের কাছে তুরস্কের ড্রোন:

ভারত সীমান্তে ড্রোন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ: ANI-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তুরস্কের Bayraktar TB2 ড্রোন কিনেছে এবং ভারতীয় (India) সীমান্তের কাছে নজরদারি অভিযানের জন্য সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করছে। প্রতিরক্ষা সূত্রগুলি ANI-কে নিশ্চিত করেছে যে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি অপারেশনে থাকা ড্রোনগুলি শনাক্ত করেছে এবং তাদের কার্যকলাপ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। গত কয়েক মাস ধরে, ওই ড্রোনগুলিকে বাংলাদেশের আকাশসীমায়, বিশেষ করে ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অনুসন্ধান অভিযান চালাতে দেখা গেছে বলেও জানা গিয়েছে।

Pakistan, Maldives, Bangladesh surrounded India with one thing.

Bayraktar TB 2 ড্রোন কতটা শক্তিশালী: এদিকে, এর মধ্যে কিছু ড্রোনের উড়ান ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে। যেগুলি এই ড্রোনের সহনশীলতা এবং ক্ষমতা প্রদর্শন করে। এমতাবস্থায়, ভারত (India) এই কার্যকলাপগুলির উপর সজাগ দৃষ্টি রাখতে রাডার এবং অন্যান্য নজরদারি ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, Bayraktar TB 2, একটি মাঝারি উচ্চতার লং এন্ডিউরেন্স (MALE) ড্রোন। তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আধুনিক সংঘাতে ব্যাপকভাবে নিয়োজিত, এই মনুষ্যবিহীন বায়বীয় ব্যবস্থাটি আকাশ থেকে মাটিতে অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। যা ভারতের সীমান্তের কাছে এর অপারেশনাল ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায়।

আরও পড়ুন: আম্বানির সাথে “লড়াই”! এবার রিলায়েন্সের কাছ থেকে ২,৪৫,৪৮,৮৬,২৫,০০০ টাকা চাইল সরকার

পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক জোরদার করছে বাংলাদেশ: এদিকে, ঠিক এই আবহেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ইউনূসের প্রশাসনকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে দেখা গেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে পাকিস্তানের সামরিক আধিকারিকরা ভারতীয় (India) সীমান্তের কাছে কৌশলগতভাবে সংবেদনশীল এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে চিকেন নেক করিডোর। যেটি ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমির একটি সংকীর্ণ অংশ।

আরও পড়ুন: EXCLUSIVE: “জীবনে কখনও ব্যাট-বল ধরেছেন….”, রোহিতকে দলের “অনুপযুক্ত” বলতেই সৌগতকে ধুয়ে দিলেন অশোক দিন্দা

উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান: ভারতের (India) সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সম্প্রতি বাংলাদেশে পাকিস্তানি সামরিক ও গোয়েন্দা আধিকারিকদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। একটি ANI পডকাস্টে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমি একটি নির্দিষ্ট দেশের (পাকিস্তান) জন্য সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল শব্দটি ব্যবহার করেছি। এখন যদি সেই দেশবাসীরা অন্য কোথাও যায় এবং সেটি আমাদের প্রতিবেশী হয়, সেক্ষেত্রে আমি আমার উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। ভারতে সন্ত্রাসবাদীদের পাঠানোর জন্য ওই ভূমি ব্যবহার করা উচিত নয়।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর