আবাস যোজনা নিয়ে বড় খবর! এবার শুরু হল ‘নজরদারি’! হঠাৎ কী হল?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে আবাস যোজনার (Awas Yojana) টাকা পাঠানো শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)। রাজ্যের লক্ষাধিক উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যেই ৬০,০০০ টাকা ঢুকে গিয়েছে। এবার এই প্রকল্প (Government Scheme) নিয়েই সামনে এসেছে একাধিক খবর। জানা গেল, নজরদারি শুরুর কথা।

আবাস যোজনা (Awas Yojana) নিয়ে কড়াকড়ি!

এই রাজ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাদের মাথার ওপর পাকা বাড়ি নেই। তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা পাঠানো শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, সমীক্ষা অনুসারে মালদহ জেলায় প্রায় ৯৯,০০০ উপভোক্তা আবাস যোজনা তথা বাংলার বাড়ি প্রকল্পে টাকা পাওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত।

প্রথম ধাপে এই জেলায় ২৯,৭৮২ জন উপভোক্তাকে বাড়ি তৈরির জন্য আবাস যোজনার (Awas Yojana) প্রথম কিস্তির ৬০,০০০ টাকা দেওয়া হবে। এখনও অবধি ২৯,০৫৩ জন উপভোক্তা সেই টাকা পেয়ে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৫,০০০ উপভোক্তা বাড়ি নির্মাণের কাজও শুরু করে দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ ‘পালং শাক কেনার মতো অর্ডার দেওয়া হচ্ছে’! হাইকোর্টে বিস্ফোরক রাজ্যের আইনজীবী! শুনেই বিচারপতি বললেন…

তবে প্রশাসনিক কর্তাদের চিন্তা বাড়াচ্ছে আরেকটি বিষয়। জানা যাচ্ছে, এখনও অবধি জেলায় প্রায় ১৮% বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়নি। প্রথম কিস্তির (Banglar Bari) টাকা পেয়ে যাওয়ার পরেও উপভোক্তারা কেন বাড়ি নির্মাণ শুরু করেননি, এই নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসনিক কর্তারা। এমতাবস্থায় ওই বাড়িগুলি তৈরির কাজ যাতে শুরু হয় সেই জন্য দল তৈরি করে পঞ্চায়েত পঞ্চায়েতে নজরদারি শুরু করেছে প্রশাসন। সেই সঙ্গেই যে সকল বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে, সেখানেও নজরদারি চালানো হচ্ছে।

Awas Yojana

আবাসের (Awas Yojana) কাজ সারতে এই নজরদারি দল তৈরির বিষয়ে জেলা প্রশাসনের একজন কর্তা বলেন, ‘ওই ১৮% উপভোক্তা যাতে দ্রুত বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন, সেই কারণে ব্লক প্রশাসন এবং গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের কর্মচারীদের নিয়ে ব্লকে ব্লকে নজরদারি দল তৈরি করা হয়েছে। তারা ঘুরে ঘুরে ওই উপভোক্তাদের বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করতে উৎসাহিত ও আবেদন করছেন। সেই সঙ্গেই যে সকল বাড়ি তৈরির কাজ চলছে, সেগুলি ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা সেটাও ওই নজরদারি দল যাচাই করছে। বাড়ি নির্মাণের কাজের ছবি জিপিএসের মাধ্যমে তুলে তারা ব্লক ও জেলায় পাঠাচ্ছেন’। অন্যদিকে জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘১০০% উপভোক্তা যাতে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বাড়ি তৈরি করেন, সেই বিষয়ে প্রশাসনিক স্তরে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর