বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত প্রায় এক বছর ধরে বাংলাদেশের দোদুল্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি চিন্তায় ফেলেছে ভারতকে (India-Bangladesh)। ছাত্র আন্দোলনের চাপে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। হাসিনার ইস্তফার পর মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের শাসনভার তুলে নিলেও, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া তো দূর, আরও বিপন্ন হয়ে উঠেছে সেদেশে।
ভারত-বাংলাদেশ (India-Bangladesh) ভিসা সংক্রান্ত তথ্য
এই অবস্থায় নিরাপত্তার দিকটি বিবেচনা করে বাংলাদেশের (Bangladesh) নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার ব্যাপারে একাধিক বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে ভারত (India)। বছরের পর বছর ধরে চিকিৎসা সহ একাধিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের ‘হট ডেস্টিনেশন’ ছিল ভারত। প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশি কলকাতা সহ ভারতের একাধিক শহরে আসেন চিকিৎসা করাতে।
আরও পড়ুন: হয়ে যান প্রস্তুত! এবার টাটা গ্রুপের হাত ধরেই বিনিয়োগকারীরা হবেন মালামাল, ব্যাপারটা কী?
পাশাপাশি ভারতের পর্যটন, শিক্ষা ও অন্যান্য ক্ষেত্রেও চোখে পড়ার মতো আগ্রহ থাকে বাংলাদেশি নাগরিকদের। এই আবহে ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে বহু বাংলাদেশি আসতে পারছেন না ভারতে। ভিসা (Visa) সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে এবার মুখ খুললেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
আরও পড়ুন : স্কুলে মোবাইল নিয়ে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা নয়! আট দফা বিধি বেঁধে দিল হাই কোর্ট
তৌহিদ বলেন, “ভিসা জটিলতা আমরা তৈরি করিনি। ভিসা সার্বভৌম অধিকার। কোনও দেশ যদি অন্য কাউকে বা কোনও গোষ্ঠীকে ভিসা না দেয় সেটা তাদের সিদ্ধান্ত, এই নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না”। বিগত কয়েক মাস ধরে ভারতের পক্ষ থেকে সীমিত সংখ্যক মেডিকেল ভিসা দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশি নাগরিকদের।
ভিসা নিয়ে ভারতের ‘ধীরে চলো নীতি’ যে ব্যাপক সমস্যায় ফেলেছে বাংলাদেশিদের তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ইউনূস সরকারের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই ভারত ভিসা কার্যকলাপ বৃদ্ধি করবে, যাতে আরও বেশি পরিমাণ বাংলাদেশি যেতে পারেন সে দেশে।
তবে ইদানিংকালে খানিকটা হলেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের (India-Bangladesh)। গতি এসেছে দুই দেশের পারস্পরিক বাণিজ্যক্ষেত্রে। এমনকি সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস বলেন, ভারতকে ছাড়া চলতে পারবে না বাংলাদেশ। এই আবহে আগামীদিনে দুই দেশের সম্পর্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এখন সেই দিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।