বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে বাংলাদেশের ভারত-বিদ্বেষী মনোভাব চোখ এরাচ্ছে না কারোর। সোশ্যাল মিডিয়া হোক কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের ভারত বিরোধী মন্তব্য, সাম্প্রতিক অতীতে ক্রমেই তিক্ত হয়েছে ভারত-বাংলাদেশের (India-Bangladesh) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।
ভারত-বাংলাদেশের (India-Bangladesh) প্রতিনিধিদের বৈঠক
তবে এই পরিস্থিতিতেও ভারতের উপর যে বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা এতটুকুও কমেনি সেই প্রমাণই মিলল আবার। ২০২৬ সালে শেষ হতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশ (India-Bangladesh) গঙ্গার জল সংক্রান্ত চুক্তি। তার উপর ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ হয়ে উঠেছে কম বৃষ্টি। এমন আশঙ্কার পরিবেশের মধ্যেই গঙ্গার জল প্রবাহ পরিমাপ করার জন্য এদেশে ছুটে এল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন : একী কাণ্ড! এবার নতুন চিন্তায় ঘুম উড়ল খোদ SBI-র, গ্রাহকদেরও করা হল সতর্ক
গঙ্গার জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে কলকাতায় আগামী ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ইন্দো-বাংলাদেশ জয়েন্ট কমিটির ৮৬তম বৈঠক। ৭ মার্চ রয়েছে কারিগরি পর্যায়ের মিটিং। তার আগে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের ১১ জন সদস্য এলেন ফরাক্কা গঙ্গা পরিদর্শনে। সূত্রের খবর, কলকাতায় ভারত-বাংলাদেশ (India-Bangladesh) জল চুক্তি নিয়ে বৈঠকের আগেই ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঘুরে দেখেন ফরাক্কা ব্যারেজ।
আরও পড়ুন : আশঙ্কাই হল সত্যি! এবার ভারত নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত আমেরিকার, বড় ঘোষণা করলেন স্বয়ং ট্রাম্প
বাংলাদেশের জয়েন্ট রিভার কমিশনের সদস্য মহম্মদ আবুল হোসেন সহ এই দলটি ফরাক্কা ব্যারেজ ও গঙ্গায় স্পিড বোটে চেপে পরিদর্শন করে বিভিন্ন এলাকা। কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ফরাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার আরডি দেশপাণ্ডে ও ফারাক্কা ব্যারেজ প্রজেক্টের আধিকারিকরা প্রতিনিধি দলকে ফরাক্কা স্টেশন থেকে নিয়ে রওনা দেন ফারাক্কা ব্যারেজ গেস্ট হাউসের দিকে।
বাংলাদেশের (Bangladesh) জয়েন্ট রিভার কমিশনের সদস্য মহম্মদ আবুল হোসেন গঙ্গা পরিদর্শন প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, চুক্তির অধীনে যৌথভাবে প্রতিবছর গঙ্গা পরিদর্শন করা হয়ে থাকে। পরিমাপ করে দেখা হয় গঙ্গার জলের প্রবাহ। চুক্তি অনুযায়ী সমস্তটা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা সেই দিকটি খতিয়ে দেখা হয়। ফরাক্কা থেকে যে জল পাওয়া যায় চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের মধ্যে তা ভাগাভাগি হয়ে যায়। তবে বৃষ্টি কম হওয়ায় জলের প্রবাহ অপেক্ষাকৃত কম। তাই আগামী বছর জল কম পাবে দুই দেশই।